হাড়ের অসুখ ঠেকাতে কোন কোন বিষয়ে নজর রাখবেন?

বোন ডিসঅর্ডার (Bone Disorder) কী? এই রোগ কি জিনঘটিত? হাড়ের সমস্যায় কতটা দায়ী জিন? হাড়ের অসুখ ঠেকাতে কোন কোন বিষয়ে নজর রাখবেন? হাড়ের অসুখ ও তার নিরাময় নিয়ে পরামর্শ দিলেন ডাঃ হর্ষবর্ধন বিনাকিয়া (Harsh Vardhan Binaykia, MS ( Orthopedics)

বোন ডিসর্ডার আসলে কি? এই বিষয়ে ডঃ হর্ষবর্ধন বিনাকিয়া জানিয়েছেন যে আমাদের শরীরের সব অঙ্গের হাড়ে সমস্যা দেখা দেয়। শুধু হাড় ভাঙা নয়, অনেক রকমের ক্রনিক সমস্যা দেখা দেয়, যেমন অস্টিওপরোসিস আর অস্টিওআর্থারাইটিস।

অস্টিওপরোসিস রোগটা বয়স বাড়লে প্রত্যেক লোকের হাড়গুলো আসতে আসতে দুর্বল হয়ে যায়। তবে কারোর কম হয় তো কারোর বেশি। এই রোগকে কমানোর জন্য রয়েছে বহু ওষুধ, সেটা ঠিক করবে ডাক্তাররা।

অন্যদিকে, অস্টিওআর্থারাইটিস মানে হল হাড় ক্ষয়ে যাওয়া। এখন সবার হাঁটু ও কোমরে ব্যাথা হয়। সেটাকে কমাতে অনেক ধরণের ব্যায়াম করে ম্যানেজ করা হয়। এছাড়াও ‘নি রিপ্লেসমেন্ট’ রয়েছে। এটাও এক পদ্ধতি। বয়স বাড়ার সাথে সাথেই এই সমস্যাগুলো সবার মধ্যে দেখা দেয়।

কি কি লক্ষণ দেখে বুঝবেন এই সমস্যায় ভুগছেন? প্রথমত হাঁটু ব্যাথা, কোমর ব্যাথা, ঘাড়ে ব্যাথা, এগুলো হতেই থাকে। দ্বিতীয়ত, অস্টিওপরোসিস সমস্যা মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ঋতুজরা হলে তখন তাঁদের মধ্যে হরমোনাল সাপোর্ট চলে যায়। ৭০ বছর বা তার বেশি মানুষদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে, অস্টিওআর্থারাইটিসের সমস্যা দেখা যায় ৪৫-৫০ মানুষদের মধ্যে। লক্ষণ আসার আগেও বয়স্ক লোকেদের একটা রুটিন চেকআপ করে নেওয়া উচিত।

কমবয়সীদের মধ্যে অস্টিওআর্থারাইটিস দেখা যায়না। কিন্তু কেউ চোট পেলে ফ্র্যাকচার হলে সেটা এই সমস্যায় পরিণীত হতে পারে। যাদের ভুঁড়ি আছে বা একটু হেলদি, তাঁদের এইরকম সমস্যা একটু বেশি দেখা দিতে পারে কিন্তু যারা রোগা তাঁদের শরীরে কম দেখা দেবে।

একটা বয়সের পর হাড় কমজোর হয়ে যায়, তখন রুটিন চেকআপ করাটা খুবই জরুরি। এছাড়া কমবয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিলে তখন গাইনিক ডাক্তার দেখালে সমস্যা মিটবে।

যোগব্যায়ামের থেকে দূরে থাকা, বসে ডেস্ক-জব করা, সূর্যের রশ্মি থেকে দূরে থাকা, ভিটামিন-ডি কম থাকা, এরকম ধরণের লাইফস্টাইল থাকলে সবার মধ্যে বোন ডিসর্ডারের সমস্যা বাড়তে পারে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...