মশাবাহিত রোগ থেকে সাবধান

বর্ষাকাল পড়লেই মশার বাড় বাড়ন্ত দেখা যায়। যার ফলে এই সময় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ছাড়াও অন্যান্য মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। বর্ষাকাল মশার প্রজননের সঠিক সময়। তাই এই সময় মশাবাহিত রোগ এড়িয়ে চলতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

মশাবাহিত রোগ এড়িয়ে চলার উপায়ে জানালেন চিকিৎসক ডাঃ ভাস্বর কোনার।

ডাঃ ভাস্বর কোনার (Bhaswar Konar) বলেছেন, মশাবাহিত যে সব রোগ রয়েছে যেমন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়োলো ফিভার ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মশাবাহিত রোগের মধ্যেই কিছুটা লাইফ সার্কেল থাকে। কিছুটা থাকে মশার ভিতরে কিছুটা থাকে মানুষের ভিতরে। মশার এই লাইফ সার্কেলের মধ্যে লার্ভা বলে একটা স্টেজ থাকে। যে কোনও মশকিউটো কন্ট্রোল মেজারমেন্টে মেইন উদ্দেশ্য হল অ্যান্টি লার্ভা মেজরমেন্ট। অ্যানোফিলিস বা কিউলেক্স কিন্তু পরিষ্কার জলে জন্মায়। আর এডিস জন্মায় নোংরা জল বা টায়ারের ভিতরে। এই কারণে জল জমতে দেওয়া যাবে না। লার্ভিসাইড বলে এক ধরনের ওষুধ রয়েছে যা মশার লার্ভা ধ্বংস করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও দু’ধরনের মাছ রয়েছে যেগুলি মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। বড় কোনও জলাশয় এই মাছগুলি ছেড়ে দিলে তারা মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে।

ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকেনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ গুলি যদি শরীরে বাসা বাঁধে তাহলে তার লক্ষণ দেখা যায়। যেমন- ম্যালেরিয়া হলে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। বমি, মাথা ব্যথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা হয়। চিকেনগুনিয়ার ক্ষেত্রেও একই রকম অবস্থা দেখা যায়। এছাড়াও জ্বর আসে, গাঁটে গাঁটে ব্যথা হয়, র‍্যাশ হয়। অনেক ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া এক বছর পরেও লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

শিশুদের বাইরে খেলতে গেলে অনেক সময় এই মশার কামড় খেতে। তাই হাত ও পায়ের ত্বকে মশকিউটো রেপালেন্স ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে মশার কামড় খাওয়ার সম্ভবনা থাকে না। এগুলি ত্বকের কোনও ক্ষতি করে না। এছাড়াও লং স্লিভ জামা ও ফুল প্যান্ট পরতে হবে। যার ফলে মশার কামড় খাওয়া সম্ভবনা কমে যাবে ও মশাবাহিত কোনও রোগ শরীরে বাসা বাঁধবে না।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...