কীভাবে মোকাবিলা করবেন ডিপ্রেশন?

ডিপ্রেশন। বাংলা করলে দাঁড়ায় অবসাদ। আজ আর কারুর কাছেই অচেনা শব্দ নয়। অবসাদ কোনও নির্দিষ্ট বয়স আর বিষয়ে আটকে নেই। বদলে যাওয়া সময়, সামাজিক পরিস্থিতি, পেশা এবং সামাজিক-পারিবারিক অনিশ্চয়তার জের একাধিক কারণে অবসাদ দেখা দিতে পারে। নিয়মিত ওষুধ ও কাউন্সিলিং করলে ডিপ্রেশন সেরেও যায়।

অবসাদের চিকিৎসা ও অবসাদ এড়িয়ে চলার উপায় জানালেন সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ প্রথমা চৌধুরী ও ডাঃ মেঘা রাথি।

 

 

সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ প্রথমা চৌধুরী ও ডাঃ মেঘা রাঠি(Megha Rathi)  জানিয়েছেন, ডিপ্রেশন শব্দটির বাংলা মানে হল অবসাদ। সাইকোলজিতে ডিপ্রেশনটা হল সর্দি-কাশির মতো। অনেক সময় যার গান শুনতে ভালো লাগত বা সিনেমা দেখতে ভাল লাগত। হঠাৎ কোনও কারণে তার সেই সব কিছুই আর করতে ভালো লাগে না। তখন বুঝতে হবে ঐ ব্যক্তি ডিপ্রেশনে ভুগছে। এই সমস্যা বেশি দিন থাকলে তখন ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে পরিণত হয়। কিন্তু সব মনখারাপই ডিপ্রেশন নয়। তবে সব মন খারাপ ডিপ্রেশন নয়। মাঝে মাঝে ডিপ্রেসড আবার মাঝে মাঝে মন ভালো থাকলে সেটাকে বাইপোলার ডিপ্রেশন বলে। এই ধরনের ডিপ্রেশন একটু বেশি জটিল। ডিপ্রেশন বাড়লে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাবে, সারাদিন ঘুমিয়ে থাকতে ইচ্ছা করবে, কোনও কাজেই মন বসবে না। শিশুদের ডিপ্রেশন বাড়লে তারা কথার অবাধ্য হয়ে পরে।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি ডিপ্রেশনের শিকার হন। বয়ঃসন্ধিকালের পর থেকেই মহিলাদের মধ্যে হরমোনজনিত কারণে ডিপ্রেশন বাড়তে থাকে। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরেই মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডিপ্রেশন দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কারণেও মেয়েরা ডিপ্রেশনের শিকার হন।

ডিপ্রেশনের অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে ডিপ্রেশন বংশগত কারণেও দেখা দিতে পারে। তাই যিনি ডিপ্রেশনের সমস্যায় ভুগছেন তার পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব হবে তাকে নিয়ে সাইকিয়াট্রিস্ট যাওয়া। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মেডিটেশন করা যেতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন কমানোর জন্য কাউন্সিলিং করতে ও ওষুধ ব্যবহার করতে বলা হয়। সঠিক ডায়েট ও লাইফস্টাইল মেনটেইন করতে পারলে এছাড়াও প্রতিদিন শরীরচর্চা, মানুষের সঙ্গে কথা বলা, সকলের সঙ্গে মিলে মিশে থাকলে পারলে ডিপ্রেশন এড়িয়ে চলা যায়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...