লাইপোমা ও টিউমার কি এক? সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে এই রোগের পরিণতি কি ক্যানসার? হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় কীভাবে নিরাময় সম্ভব, জানালেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডাঃ শুভদীপ কর (Dr. Subhadeep Kar, Homeopathy Doctor)
ডাঃ শুভদীপ কর জানিয়েছেন, টিউমার হল শরীরের কোনও অংশে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। যে কোনও অঙ্গ ও অংশে এই বৃদ্ধি হতে পারে। টিউমারের দুটি ভাগ আছে। ক্যান্সারাস টিউমার এবং নন-ক্যান্সারাস টিউমার।
ক্যান্সারাস টিউমারের দ্রুত বৃদ্ধি হয়। এক কোষ থেকে আর এক কোষে ছড়িয়ে পড়ে। সেই বৃদ্ধিতে শরীরের নিজস্ব কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। নন ক্যান্সারাস টিউমারে শরীরের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এতে ফ্যাট সেল বেশি থাকে। ঘাড়, হাত, গলা, কাঁধ, পিঠে লাইপোমা টিউমার বেশি হয়। ফুলে ওঠা অংশে হাত দিলে নড়াচড়া করে। এটাই লাইপোমার প্রকৃতি।
তবে লাইপোমার থেকে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। জীবনহানিও হয় না। ব্যথা বেদনা কম, সেই কারণে অনেক সময় চামড়ার নিচে টিউমার তৈরী হলেও বোঝা যায় না যে টিউমার হয়েছে। লাইপোমা টিউমারে কোনও ব্যথা হয় না। শুধু হাত দিলে চর্বি পিন্ড নড়াচড়া করে। এটাই লাইপোমার লক্ষণ।
জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড ফুড, ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি এই ধরনের টিউমারের একটি বড় কারণ।
শিশুদের মধ্যে লাইপোমা টিউমার সেভাবে দেখা যায় না। ৩০-৪০ বছরের মধ্যে লাইপোমা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগীর রোগের লক্ষণ ও ধাত অনুযায়ী টিউমারের চিকিৎসা করা হয়। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলে রোগ সম্পূর্ণ নির্মুল হয়ে যায়। সাধারণভাবে এক থেকে দেড়বছর সময় লাগে। তবে টিউমারের প্রকৃতির ওপর সেরে ওঠার সময়সীমা নির্ভর করে।