ডিসেম্বর মাস বিশ্বজুড়ে পালিত হয় Constipation Awareness Month হিসেবে। জেনে নিন কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়? কোন কোন নিয়ম মেনে চললে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে? কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে কী কী খাওয়া উচিত? ছোটোদের এই সমস্যা থাকলে তাদের ডায়েট কেমন হওয়া উচিত? ঘরোয়া টোটকায় কোষ্ঠকাঠিন্য সারানোর উপায় কি? পরামর্শ দিলেন ডায়েটিশিয়ান রিয়া বসু (Riya Bose, Dietitian)
কোষ্ঠকাঠিন্য বা constipation কেন হয়?
রিয়া বসু জানিয়েছেন, এই সমস্যার পশ্চাতে অনেক কারণ থাকে। কোনও একটা নির্দিষ্ট কারণ দায়ী নয়। তবে প্রধান কারণ জল কম খাওয়া। ফাইবার জাতীয় খাবার যখনই কম খাওয়া হয় তখনও এই সমস্যা আসতে পারে। অনেকেই অতিরিক্ত চা কফি খায় সেক্ষেত্রেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আসতে পারে। এছাড়া স্ট্রেস, অতিরিক্ত তেল মশলাদার খাবার এইসব কারণও আছে।
জীবনযাত্রা, খাদ্যভ্যাস ভীষণভাবে দায়ী। অনেকেই তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর জন্য ক্রাশ ডায়েট করে থাকেন, সেক্ষেত্রে নিজের মতো ডায়েট চার্ট না বানিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট প্ল্যান করা উচিত।
তাঁর পরামর্শ, প্রচুর জল খান। সবুজ শাকসবজি অবশ্যই ডায়েটে রাখুন। প্রতিদিন স্যালাডকে সঙ্গী করুন। পাকা পেঁপে, কলা এই সমস্যায় খুব ভাল।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে যাদের তাদের গ্রিন টি, দারুচিনি এড়িয়ে চলাই ভাল। ওয়েট লস করতে অনেকেই এই দুটি জিনিস নিয়মিত খেয়ে থাকেন। ময়দা, অতিরিক্ত তেল, জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড ফুড খাওয়া কমাতে হবে। অতিরিক্ত চা কফি আর স্ট্রেস দুই থেকেই বিরত থাকতে হবে।
কোষ্ঠ কাঠিন্যের ঘরোয়া টোটকা আছে। কালো কিসমিস, চিয়া শিডস এই সমস্যায় উপকারী। শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য খুব চেনা সমস্যা। অনেকে শিশুদের আতপ চালের খিচুড়ি খাওয়ান। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। ডায়েটে অবশ্যই কলা রাখবেন। আতপ চালের বদলে সিদ্ধ চাল দিন।
আজোয়ান, পুদিনাপাতা একসঙ্গে ফুটিয়ে নিয়ে তার জল ছেঁকে নিয়ে খেলে এই সমস্যায় ভীষণ ভাল কাজ দেয়। এক কাপ জলে ২ তেজপাতা দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে সেই জল ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকটা কমে। মৌরি ভেজানো জলও খাওয়া যেতে পারে।