চুল পড়ার অনেক কারণের মধ্যে একটি- খুশকি সমস্যা। মাথার ত্বকে বিভিন্ন কারণে খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু সঠিকভাবে চুলের যত্ন নিলে ও নিয়ম মেনে চললে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়ার উপায় বললেন কসমেটোলজিস্ট পূজা সাউ।
কসমেটোলজিস্ট পূজা সাউ জানিয়েছেন, প্রায় প্রত্যেকের স্ক্যাল্পেই খুশকির সমস্যা দেখা যায়। তবে এই সমস্যার অনেক কারণ রয়েছে। যাদের বেশিমাত্রায় খুশকির সমস্যা আছে তাদের ত্বকেও র্যাশ দেখা দেয়। এমনকি অনেকে জানেন না জিভেও র্যাশ বেরোতে পারে। আসলে খুশকি হল এক ধরনের ভাইরাল ইনফেকশন। কিছু ঘরোয়া টিপস রয়েছে যেগুলি মেনে চললে খুশকির সমস্যা এড়িয়ে চলা যায়। যেমন- লেবুর রস, মধু আর টক দই এক সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ পর উষ্ণ গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সব থেকে বেশি খুশকি হয়ে তৈলাক্ত ত্বকে। তাই তৈলাক্ত ত্বকে যাদের তারা বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার করে। যার ফলে তাদের চুলে সমস্যা দেখা দেয়। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শ্যাম্পু করা উচিত।
স্ট্রেস থেকেও হেয়ার লস হয়, ডায়েট মেনটেইন না করলে হেয়ার লস হয়ে। অনেক সময় কন্ডিশনার থেকেও খুশকি হয়। কারণ অনেকে জানেন না কীভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হয়। কন্ডিশনার সব সময় চুলের উপর ব্যবহার করতে হয়। স্ক্যাল্পে কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত নয়।
চুলের যত্নের জন্য যোগ ব্যায়াম করা খুব জরুরি। সকালবেলা উঠে সূর্যপ্রণাম করলে খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও জবা ফুল গরম জলে ফোটানোর পর সেই জল জবা ফুলটা পেস্ট করে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করা যেতে পারে। সেটা মাথায় কিছুক্ষণ রাখার পর গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। কিছু মানুষ চুলে তেল ব্যবহার করা পছন্দ করেন। কিন্তু তেল বেশিক্ষণ চুলে রাখা যাবে না। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন পার্লারে এখন ড্যানড্রফ ট্রিটমেন্ট, ওজন ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। ওজন ট্রিটমেন্ট করে স্ক্যাল্পের খুশকির সমস্যা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ১৫-২০ দিন পর আবার খুশকির সমস্যা ফিরে আসবে। তাই সেই সময় চুলের যত্ন নিতে হবে। এছাড়াও নজর রাখতে হবে যে শ্যাম্পু ব্যবহার করা হচ্ছে তার পিএইচ লেভেল ৯-এর বেশি না হয়।