গ্লাস স্কিন গ্লো এখন লেটেস্ট ট্রেন্ড। গ্লাস ক্লিন গ্লো মানে পোরলেস, সফট, গ্লোয়িং, হেলদি এবং ডিউয়ি স্কিন। ত্বকের এই ধারণা কোরিয়া এবং জাপানে অত্যন্ত প্রচলিত। প্রায় এক ধক আগে ‘গ্লাস স্কিন’ জনপ্রিয় হতে শুরু করে ইউরোপের দেশগুলোতে। আর এখন সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বাকি দুনিয়াতেও জনপ্রিয় বিউটি ট্রেন্ড। চকচকে দাগহীন আয়নার মতো ঝকঝকে ত্বক পেতে কোনও ফিল্টার দরকার হয় না যদি রোজ সঠিক পদ্ধতিতে ত্বক পরিচর্যা করা হয়।
গ্লাস স্কিন আসলে কী? ঘরোয়া উপায়ে কি গ্লাস স্কিন পাওয়া সম্ভব? টিপস দিলেন অভিনেত্রী লিজা গোস্বামী (Leeza Goswami, Actress)।
লিজা গোস্বামী জানিয়েছেন, গ্লাস স্কিন গ্লো- পেতে ত্বককে সব সময় হাইড্রেটেড রাখতে হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে ত্বকের পরিচর্যা দরকার। ক্লিনজিং, ময়েশ্চারাইজিং, টোনিং মাস্ট। প্রচুর জল খেতে হবে। হাইড্রেটেড স্কিনই গ্লাস স্কিন গ্লোর আসল রহস্য।
ঋতুর ওপর নির্ভর করে স্কিন কেয়ার রুটিন। ঋতু অনুযায়ী বদলও ঘটে তার। ব্যসন, দুধের সর, হলুদ ত্বকের পক্ষে সব সময়ই ভাল। গরমকালে ট্যানের সমস্যা খুব চেনা। ট্যান দূর করতে টকদই, টম্যাটোর রসের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সপ্তাহে ৩ দিন লাগানো যেতে পারে। ত্বকের জন্য ঘরোয়া টোটকা সব সময় সেরা। কারণ ত্বক বুঝে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করলে তার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।
খাদ্যাভ্যাস সরাসরি প্রভাব ফেলে ত্বকে। তাই তেল, মশলা, স্ট্রিট ফুড, ভাজাখাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা ভাল। তার পরিবর্তে তেলমশলাহীল খাবার, শাক-সবজি, স্যালাড বেশি পরিমাণে খেতে হবে। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি বা ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচাতে সানস্ক্রিন মাখতে হবে। সেই সঙ্গে টুপি ও স্কার্ফও ব্যবহার করতে হবে।