সান-ট্যান দূর করার সহজ ঘরোয়া উপায় কী? সেনসেটিভ স্কিনে ট্যান প্রতিরোধ করবেন কীভাবে? রোদে পোড়া ত্বকের যত্ন নেবেন কীভাবে? টিপস দিলেন অভিনেত্রী পৌষমিতা গোস্বামী (Poushmita Goswami, Actress)
ট্যান প্রতিরোধ করতে হলে সবার আগে আমাদের হাইড্রেড থাকতে হবে। তার জন্য বেশি করে জল খেতে হবে ডাবের জল, ওআরএস নিয়ম করে খাওয়া যায়। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করে বেরতে হবে। একেবারে অনেকটা জল খাওয়ার বদলে বারে বারে জল খেলে ভাল। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে।
গরমকালে ট্যান পড়া যত সহজ, শীতকালে ততটা নয়। গরমে ঘাম হয়। রোমকূপ হাইড্রেটেড থাকে। শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। জলের ওভাবেই এটা হয়ে থাকে। তাই শরীরে জলের ব্যালেন্স ঠিক থাকলে ট্যান থেকে বাঁচা সম্ভব। হাতের মাড়, গ্লিসারিন জমিয়ে রেখে, তার সঙ্গে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল মেশাতে হবে, যদি ড্রাই স্কিন হয় তাহলে নারকেল তেল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে দিনের শেষে রোজ ম্যাসাজ করা যায় তাহলে স্কিনে যেমন ইনস্ট্যান্ট গ্লো আসবে তেমনই ডি ট্যান প্যাকের কাজ করবে। সারা সপ্তাহের শেষে ট্যান রিমুভ করার বদলে রোজ করলে কাজ সহজ হয়।
এলোভেরা, টোম্যাটো, লেবু সরাসরি ত্বকে ব্যবহার ঠিক নয়। কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে করা যায়। সেদিক থেকে ভাতের মাড়, গ্লিসারিন নিরাপদ, এলার্জি হয় না। ট্যান রিমুভ করলেই ফর্সা হয়ে যাব এমন ধারণা ভুল। সৌন্দর্য পুরোটাই মনের আয়না। মন ডি ট্যান করা গেলেই ত্বকও পরিষ্কার হবে। গায়ের রঙ দিয়ে সৌন্দর্য বিচার করা যায় না। তবে ট্যান জমতে জমতে ত্বকের সমস্যা আসে সেই জন্যই ডি-ট্যান জরুরি।