চলতি ট্রেন্ড মানে কী শুধু মাত্র ওয়েস্টার্ন লুক বা ওয়েস্টার্ন পোশাক? একেবারেই এমনটা নয়। এখন ওয়েস্টার্ন লুক বা ওয়েস্টার্ন পোশাকের পাশাপাশি এথনিক ড্রেস বা লুকও ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে। বিশেষ করে শাড়ি। আজও সব বয়সী মহিলাদের খুব পছন্দের একটি পোশাক। ভারতীয় সংস্কৃতির ধারক বাহক শাড়ি। পুজোর আগে বিভিন্ন ধরনের ইউনিক কাজ করা শাড়ি দেখালেন ফ্যাশন ডিজাইনার শান্তনু গুহঠাকুরতা।
ফ্যাশন ডিজাইনার শান্তনু গুহঠাকুরতা বলেছেন,
প্রথম শাড়িতে বিষ্ণুপুরী সিল্কের উপর বাটিক আর নকশিকাঁথার কাজ করা হয়েছে। পুরো শাড়িটা তৈরি করে প্রায় দেড় মাস সময় লাগে। আজকের বাঙালি মহিলাদের মধ্যে শাড়ি পরার ইচ্ছা বেশি দেখা যায়। কারণ এখন এটাই ট্রেন্ড চলছে।
দ্বিতীয় শাড়িটাতে মটকার উপর বাটিক ও কাট ওয়ার্ক করা হয়েছে। শাড়ির বর্ডার লাইনে তিনটে রং ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বাংলা তথা সমগ্ৰ ভারতবর্ষে তসরের কাজ করা শাড়ির চাহিদা বেশি রয়েছে। যে কোনও বয়সের মহিলাই এই ধরনের শাড়ি পরতে বেশি পছন্দ করেন।
তৃতীয় শাড়িটা হল বাংলাদেশের ঢাকাই মসলিন শাড়ি। যে কোনও বয়সের মহিলাই এই শাড়ি ক্যারি করতে পারবেন।
চতুর্থ শাড়িটাও একটা ঢাকাই মসলিন শাড়ি। এই শাড়ির উপর হ্যান্ড ব্লকের কাজ করা হয়েছে। একটি মটকা শাড়িকে কেটে পাড় হিসেবে জোড়া হয়েছে এই শাড়ির সঙ্গে। সারা বছর যে কোনও অনুষ্ঠানে এই শাড়ি পরা যেতে পারে।
পঞ্চম হল একটা আজরাখ শাড়ি। তসরের এই শাড়িটার আঁচলে আর পাড়ে গুজরাটি ওয়ার্ক বা কাচ্চি ওয়ার্ক করা হয়েছে। শীত, গ্ৰীষ্ম, বর্ষা প্রায় সব ঋতুতেই এই শাড়ি পরা যেতে পারে।
ষষ্ঠ শাড়িটিতে তসরের উপর ব্লক প্রিন্ট করা হয়েছে। শাড়ির আঁচল ও বর্ডারে নকশিকাঁথার কাজ করা হয়েছে।
সপ্তম হল একটি কলমকারি শাড়ি। এই ধরনের শাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে খুব বিখ্যাত। শাড়ির উপর হ্যান্ড ব্লকের কাজ করা হয়েছে।