বাঙালির বৈশাখী সাজ মানেই ধুতি আর পাঞ্জাবি। ধুতিতে কি অন্যভাবেও সেজে ওঠা যায়? চেনা ধুতির অচেনা স্টাইল টিপস দিলেন ডিজাইনার চৈতালী চক্রবর্তী ও সোমশুভ্র চক্রবর্তী (Chaitali Chakrabarti, & Somsubhra Chakrabarti, Designer, Owner Of AHANA Designer Studio)
ডিজাইনার চৈতালী চক্রবর্তী ও সোমশুভ্র চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পোশাকে নিজের মাটির সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা সংস্কৃতি সংরক্ষণের অন্যতম জরুরি কাজ। বাঙালি ধুতি পাঞ্জাবি তো বটেই আরও নানা ঐতিহ্যবাহী পোশাক উৎসব অনুষ্ঠান থেকে দৈনন্দিনে ব্যবহার করতে পারে। ধুতিও কেবল মাত্রা যে সাদা পরতে হবে এমন কোনও কথা নেই। রঙিন ধুতি, বিভিন্ন মোটিভ পাড়ের ধুতিও পরা যেত পারে। ফ্যাশনের ইতিহাস বলে বহু আগে থেকেই রঙ্গিন ধুতি পরার চল ছিল। এই সময়ের ডিজাইনাররা সেই বিষয়টিই নতুন করে ফিরিয়ে এনেছেন। সেভাবেই এসেছে ফতুয়া। ফতুয়াকে বাঙালির প্রাচীনকালের টি-শার্ট বলা যেতেই আপারে। গরমে এর চেয়ে আরামদায়ক পোশাক আর কিছু হতে পারে না।
ধুতিকে বিভিন্নভাবে পরা যেতে পারে। প্যান্টের সঙ্গে যা যা পরা যায় সেই সবকেই ইন্দো-ওয়েস্টার্ন হিসেবে ধুতির সঙ্গে পরা যায়। তবে পোশাক ক্যারি করার আত্মবিশ্বাসটাই আসল। ফ্যাশন দুরস্ত হওয়া যায় যে কোনও পোশাকে। বিয়ে বাড়িতে সাজের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে অতিথির সাজ যেন কখনও নবদম্পত্তিকে ছাপিয়ে না যায়। এমনকি বিয়েবাড়ির জন্য ডিজাইনার ওয়্যার কেনার সময়ই এই বিষয়টা মাথায় রাখা উচিত।
বাঙালির বাঙালিয়ানা ধুতিতে। ধুতির সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে কাস্টমাইজড শার্ট, ফতুয়া পরা যেতে পারে। কাঁথা আকজ, বাংলা মোটিভের কাজ, হ্যান্ড প্রিন্টিং নানারকম ট্র্যাডিশনাল মোটিভ ব্যবহার করা যেতে পারে।
কেউ যদি বোহেমিয়ান লুক পছন্দ করে তাহলে শর্ট কুর্তা, হারেম প্যান্টে নানারকম মোটিভ ব্যবহার করা যেতে পারে। ফ্যাশনের থেকেও বেশি জোর দেওয়া উচিত স্টাইলে। সব সময় তসর বা খাদির মতো মেটিরিয়ালের পোশাকই পরতে হবে এমন কোনও কথা নেই। লিনেন, কটন লিনেনও পরা যেতে পারে।
গরমে হারেম প্যান্ট আর ফতুয়া ভীষণ ভাল কম্বিনেশন। প্রতিবার নিত্য নতুন পোশাক কেনার থেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পুরনোকে নতুন করে তোলাও ফ্যাশন।