গ্যাসট্রো সমস্যায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

১৭৯৬ সালে জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আবিষ্কার করেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে হোমিওপ্যাথির আবিষ্কার এক বড় অবদান। আজকের যুগেও বহু মানুষ রয়েছেন যারা হোমিওপ্যাথির উপর বেশি ভরসা করে।হোমিওপ্যাথিক ওষুধকে ‘রেমিডি’ বলা হয়। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সব সময় নিয়ম মেনে খেতে হয়ে। না হলে পাশ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ওষুধ কাজ না করতে পারে। সময় মতো খাবার না খাওয়া জন্যে এখন বহু মানুষই গ্যাসট্রো ও লিভার সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কতটা কার্যকরী? হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় কী কী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে?

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও গ্যাসট্রো সমস্যা নিয়ে বিশদে জানিয়েছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডাঃ স্নিগ্ধদীপ সাহা

ডাঃ স্নিগ্ধদীপ সাহা জানিয়েছেন, গ্যাসট্রো সমস্যায় লিভার,গলব্লাডার,প্যানক্রিয়াস এই সব অঙ্গই জড়িত। তবে গ্যাসট্রোর সমস্যা হলে বুকে জ্বালা করে, গ্যাস হয়ে, খিদে চলে যায়, বার বার ঢেকুর ওঠে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

আসলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মোট ৫০০০ রকমের ওষুধ রয়েছে। সঠিক ওষুধ ব্যবহার করলে সব ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রচলিত ধারণা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সব ধরনের চিকিৎসা করা সম্ভব। কিন্তু এটা ঠিক নয়। অনেক সময় কেমোথেরাপির সময় কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে শরীরে। কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় কিছু ওষুধ রয়েছে যা ব্যবহার করলে এই সকল সমস্যা দেখা দেয় না।

লিভারের রোগের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ফ্যাটি লিভার। এই  সমস্যা দেখা দিলে লিভারের মধ্যে ছোট ছোট পিন্ড জমা হয়ে। অনেক সময় লিভারে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হতে পারে। লিভারের সমস্যা হলে বেশ কিছু ওষুধ ব্যবহার করা যায়। শরীরে ইমিউনিটি কমে যাওয়ার ফলে শ্বেতী ছাড়াও বেশ কিছু রোগ দেখা দেয়। এই সব ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা খুবই কার্যকরী। মানুষের ধারণা হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহার করলে অনেক কিছু খাওয়া যায় না। এই কথা সত্যি নয়। শুধুমাত্র ওষুধ খাওয়ার ১৫ মিনিট কিছু খাওয়া যাবে না।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...