কীভাবে এড়াবেন গলব্লাডার স্টোন

পেটে ব্যথা। ব্যথা বেশ জোরালো। সঙ্গে জ্বর, বমি ভাব। চিকিৎসকের কাছে গেলে অনেকসময় পরীক্ষা করে তিনি জানান, ‘গলব্লাডারে স্টোন’। গলব্লাডার মানে পিত্তথলি। আমাদের শরীরে লিভারের ঠিক পাশেই। দেহে খাবার হজম করতে সাহায্য করে পিত্তরস। এই পিত্তরসে জল ও ফ্যাটের পরিমাণে অসামঞ্জস্যতার দেখা দিলে গল ব্লাডরে স্টোন জন্মায়। তুলনামূলকভাবে দেখা গিয়েছে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। গলব্লাডারে স্টোন জন্মায়, তাহলে তার সঠিক সময় চিকিৎসা না করা হলে। এই সমস্যা ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। তাই সচেতন হতে হবে শুরু থেকেই।কিন্তু গলব্লাডারের স্টোন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী? এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন চিকিৎসক ডাঃ সঞ্জয় মন্ডল

চিকিৎসক ডাঃ সঞ্জয় মন্ডল বলেছেন, গলব্লাডারে স্টোন জমার সমস্যা এখন খুবই কম একটা সমস্যা। ডায়েট রিলেটেড কারণেই এই সমস্যা দেখা দেয়। খুব বেশি তৈলাক্ত কিংবা ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলেও গলব্লাডারে স্টোন দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কিছু হরমোনাল ও জেনেটিক কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। গলব্লাডার স্টোন থাকলে পেটে ব্যথা, ইনডাইজেশান, ব্লোটিং, গ্যাস লোড ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। সঠিক সময় এই যদি এর চিকিৎসা না হয় তাহলে গলব্লাডার স্টোন অনেক সময় পিত্তনালীতে চলে আসে এর ফলে জন্ডিস হতে পারে এবং প্যানক্রিয়াটাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্যানক্রিয়াটাইটিস ও জন্ডিস দেখা দিলে সংকট আরও বাড়ে।

এছাড়াও গলব্লাডার স্টোন পিত্তনালীতে প্রবেশ না করলেও অনেক সময় গলব্লাডার স্টোনে ইনফেকশনের ফলেও গলব্লাডার ফেটে যেতে পারে। যার ফলে ইনফেকশন সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে। গলব্লাডার স্টোন থাকলে রোগীকে সব সময় ওয়েলি বা ফ্যাটি ফুড খেতে বারুণ করা হয়। তবে গলব্লাডার স্টোন ক্ষেত্রে বর্তমানে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। যা হল সার্জারি। আগে অনেক বড় সার্জারি করা হতো। কিন্তু এখন শুধু মাত্র একটি মাইক্রো সার্জারি ল্যাপ্রোস্কোপির মাধ্যমে এই কাজ করা হয়। যার ফলে রিকভারী খুব দ্রুত হয়। কিন্তু সার্জারির পর অন্তত এক মাস শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করতে বারণ করা হয়। কিন্তু সাধারণ কাজকর্ম করা যায়।

গলব্লাডারের স্টোন বেশি সময় ধরে থাকলে তা ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। তবে সঠিক ডায়েট মেনটেইন করে খাবার খেলে অর্থাৎ জাঙ্ক ফুড, যে কোনও সুইট ড্রিঙ্ক বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও শরীরচর্চা করতে হবে প্রত্যেক দিন। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি হল যদি শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দেয় তবে অবশ্যই একবার চেকআপ করিয়ে নিতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...