গলব্লাডারে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?

গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে সবচেয়ে কমন হল গলব্লাডারের স্টোন ও টিউমারের সমস্যা। গলব্লাডারের এই সকল সমস্যা দেখা দিলে বমি, জ্বর, জন্ডিস ও পেটে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত গলব্লাডারে ইনফেকশন হলেই এই সব সমস্যা হয়। গলব্লাডারের এই সব সমস্যা চিকিৎসা কী? এই বিষয়ে পরামর্শ দিলেন জেনেসিস গ্রুপ অফ কোম্পানিজ-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ পূর্ণেন্দু রায়।

(Dr. Purnendu Roy, Chairman & Managing Director of  Genesis Group Of Companies) জেনেসিস গ্রুপ অফ কোম্পানিজ-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ পূর্ণেন্দু রায় বলেছেন, গলব্লাডার স্টোন হলে প্রথমেই সব মানুষের একই ধরনের উপসর্গ দেখা নাও দিতে পারে। তবে অনেকেই আছেন যারা রুটিন হেলথ চেক আপ করান। এই রুটিন হেলথ চেক আপ করার সময় গলব্লাডার স্টোন ধরা পড়ে যায়। কিন্তু কোনও ব্যক্তির যদি প্রতিদিন গ্যাস, অম্বলের সমস্যা হয় তাহলে বুঝতে হবে তার গলব্লাডার স্টোন আছে। এছাড়াও জন্দিস, পেটে ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি অসুখ অনেক সময় গলব্লাডার স্টোন থাকলে হতে পারে। যদি এই উপসর্গগুলো দেখা দেয় তাহলে চিকিৎসক পরামর্শ দেবে পরীক্ষা করার জন্য। আলট্রাসাউন্ড অ্যাবডোমেন পরীক্ষা করলে বোঝা যায় গলব্লাডারে স্টোন আছে কি না।

গলব্লাডার স্টোনের থেকে ইনফেকশন হয় যার ফলে জ্বর বা জন্ডিস জাতীয় অসুখ দেখা দেয়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সার্জারি করিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ সার্জারি ছাড়া গলব্লাডার স্টোনের কোনও চিকিৎসা হয় না। এক্ষেত্রে  রোগীর যদি বয়স বেশি থাকে বা তার যদি কার্ডিয়াক সমস্যা বা অন্যান্য সমস্যা থাকলে তাহলে অনেক সময় সার্জারি পরে করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক। গলব্লাডার স্টোন হলে অনেক সময় গলব্লাডার সার্জারির মাধ্যমে বাদ দেওয়া হয়। সারা পৃথিবীতেই এই নিয়ম মেনে গলব্লাডার স্টোনের চিকিৎসা করা হয়।

গলব্লাডার স্টোন থাকলে তাড়াতাড়ি সার্জারি না করালে সেই স্টোন পিত্তনালীতে গিয়ে আটকে যেতে পারে। যার ফলে ইনফেকশন হয় ও জ্বর বা জন্দিস দেখা দেয়। এছাড়াও এই স্টোন যদি প্যানক্রিয়াসে গিয়ে আটকে যায় তাহলে প্যানক্রিয়াটাইটিস হয়। গলব্লাডারে স্টোন ছাড়াও টিউমার দেখা দিতে পারে। ল্যাপারোস্কপিক সার্জারির মাধ্যমে এই সমস্যার চিকিৎসা করা হয়।  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...