কলকাতা যে কোনও ভোজনরসিকের কাছে স্বর্গ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, স্বদেশী হোক বা বিদেশি সব স্বাদ খুঁজে পাবেন এই শহরে। সব স্বাদকে এই শহর নিজের মতো ভালবেসেছে। তৈরি করেছে নিজস্ব চমক, অনেকটা ওই শেফের স্পেশ্যাল টাচের মতো।
ধরুন আপনার মন চাইছে সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার খাবেন। এই শহর আপনাকে হতাশ করবে না বরং এমন সব অভিজ্ঞতা উপহার দেবে যা হয়ে থাকবে আপনার সারজীবনের সম্পদ।
শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে নানা নামের দক্ষিণী রেঁস্তোরা। তাদের আছে নিজস্ব সিগনেচার। চট করে আপনি চিনে নিতে পারবেন। এমনই এক রেস্তোঁরা গড়িয়া অঞ্চলের ‘তৃপ্তি’। তৃপ্তির পুরো নাম ‘তৃপ্তি সাউথ ইন্ডিয়ান ফুড হাব’। ঠিকানা 130B রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোড, ভ্যালি পার্ক।
কী কী স্বাদের দোসা পাওয়া যায় সেখানে, দেখে এলেন অভিনেত্রী শাশ্বতী সিনহা, তাঁর সঙ্গী হলেন ‘ফুডকথা’র প্রতিনিধি।
এখানে ৪৩ রকমের দোসা পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকাল দশটায় খুলে যায়, চলে রাত দশটা পর্যন্ত। সাদা দোসা থেকে শুরু করে বাটার দোসা, বাটার চিজ মশালা দোসা, মহীশূর মশালা দোসা, সেজুয়ান মশালা দোসা, টম্যাটো মশালা দোসা, পনির মশালা দোসা, রাভা দোসা, ঘি দোসা এমন অনেক ধরনের দোসা পাওয়া যায়।
দোসার পাশাপাশি পাওয়া যায় বিভিন্ন স্বাদের উত্তাপম। সেই লিস্টও ছোট নয়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এখানকার সেজুয়ান দোসা।
করোনা অতিমারী ধাক্কা দিয়েছে ব্যবসায়, কিন্তু তাতেও তৃপ্তি খাবারের দাম বাড়াবার পথে যায়নি সেভাবে। কাঁচামালের দাম আগুন হলেও খাবারের গুণমান ও স্বাদের সঙ্গে কোনও ‘কম্প্রোমাইজ’ নয়-এটাই মত এবং পথ তৃপ্তির কর্ণধার নরেন ভট্টের।