শ্যামবাজারের মেট্রোর এক নম্বর গেটের ঠিক উল্টো দিকে কবিরাজী মোমো এখন উত্তরের টান। 'দুই বন্ধুর দোকান' বললেই এক ডাকে চেনা যায় এই ফুড জয়েন্ট। সব ডিশ মিলবে ১০০ টাকার কমে। ঘুরে এল 'ফুডকথা'।
কবিরাজী বললেই মনে পড়ে যায় উত্তর কলকাতার গলির ভিতর মালঞ্চের গল্প। গন্ধে হলেও কবিরাজী র জন্য মনকেমন। ছাঁকা তেলে ভাজা মুচমুচে কবিরাজী। শেই নস্টালজিয়াকে উসকেই শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে নয়া আকর্ষণ কবিরাজী মোমো। মোমো ক্রেজি দুই বান্ধবীর ফুড ভেঞ্চার।
দুই বন্ধুই কেহতে ভালোবাসেন তারওপর প্রচন্ড মোমোপ্রেমী। চেনাজানা স্টিম মোমো, ফ্রায়েড মোমোর বাইরে বেরিয়ে খুঁজছিলেন নতুন মোমোর স্বাদ। নতুন ধরনের স্বাদ খুঁজতে গিয়েই আসে এই ফিউশন মোমোর আইডিয়া। কবিরাজী বললেই যেমন মাথায় আসে উত্তর কলকাতা, সেই সিগনেচারকে তাঁরা মিলিয়ে দিলেন মোমোতে। আর সেভাবেই ফুডিদের প্লেটে জায়গা করে নিল কবিরাজী মোমো।
কবিরাজী মোমোর ক্রিসপি মুচমুচে ব্যাপারটাই এই মোমোর ইউনিক স্টাইল। দুই ফুডি বন্ধুর এই ফুড ভেঞ্চার স্টার্ট আপ ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে খাদ্যপ্রেমী মানুষদের মনে।
কবিরাজী মোমো ছাড়াও এখানে পাওয়া যায় স্টিম মোমো, ফ্রায়েড মোমো, প্যান ফ্রায়েড ও আরো নানা স্বাদের মোমো, পাস্তা, ন্যুডলস এবং ম্যাগির নানা ফিউশন পদ। ছাত্রছাত্রী, টিনএজারদের কথা মাথায় রেখেই এখানে সব ডিশই পকেট-ফ্রেন্ডলি। যা খাবেন সব পাবেন দাম ১০০ টাকারও কমে। আর বিখ্যাত কবিরাজী মোমো পাওয়া যাবে মাত্র ৭৫ টাকায়।
তাঁরা কারও কাছে বোন, কারও দিদি কারও কাছে বন্ধু, আর এই সব সম্পর্কের যোগ সূত্রই তাঁদের তৈরি দারুণ দারুণ ডিশ। তাঁরা বলেন তাঁদের জার্নিতে এই ভালোবাসাটাই তাঁদের প্রাপ্তি। মোমো নিয়ে আরও ফিউশন ডিশ তাঁরা আনতে চলেছেন। খুব তাড়াতাড়ি আসছে। আর তার জন্য আসতেই হবে উত্তরে। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ২ নম্বর মেট্রো গেটে হলুদ স্টলে দুই বন্ধুর দোকানে।