তাঁর ডায়েটে থাকে রোজ কাঁচা সবজি। ছাব্বিশ বছরের অভিনয় জীবন, কিন্তু ফিটনেসে তিনি তুখোড়! অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত’র ফিটনেস মন্ত্র আসলে কী?
২৬ বছর ধরে তিনি অভিনয় জগতে। লম্বা, ছিপছিপে চেহারার জন্য শুরু থেকে নজর কেড়েছিলেন দর্শকদের। আর পাঁচটা বাঙালি মেয়ের চেহারা যেমন হয় তার চেয়ে অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত অনেকটাই আলাদা। সিনেমা পাড়া স্বচ্ছন্দে তাই তাঁকে নাম দিয়েছে ‘ফিটনেস কুইন’। টানটান চেহারায় বাড়তি আকর্ষণ লম্বা চুল আর ঝঝককে চেহারায় সদা সতেজ ভাব। দেবলীনার কথায় তাঁর সবচেয়ে জোরের জায়গা তাঁর ডায়েট। তিনি মনে করেন ডায়েট-ই মানুষের সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি। সেটাই তাঁর ফিটনেস মন্ত্র।
একেবারে ছোটবেলায় অবশ্য তাঁর এমন কোন ফিটনেস মন্ত্র ছিল না। জিনগতভাবে তিনি রোগা। বয়স বোঝা যায় না। এই ধাত তিনি পেয়েছেন তাঁর মায়ের থেকে। তবে এখন তিনি সবচেয়ে জোর দেন ডায়েটে।
দেবলীনা গত সাত বছর ধরে একশো শতাংশ ভেজিটেরিয়ান। এড়িয়ে চলেন তেল, ঝাল,মশলা, নুন,চিনি। সপ্তাহে ছয় দিন তাঁর এই ডায়েট চলে। একদিন অবশ্য চিট ডে। খেতে খুব ভালবাসেন। বিশেষ করে ভাজা খাবার। ‘চিট ডে’র দিন তাই তাঁর ব্রেকফাস্টে লুচি চাই। ফ্রায়েড ফুডও মন ভরে খান। প্রচুর কাঁচা সবজি থাকে তাঁর ডায়েট লিস্টে। কাঁচা সবজি মেটাবলিজমে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে হাঁটেন। এছাড়া আর কোনও এক্সারসাইজ নেই।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় যেন এক চান্সে চোখ খুলতে পারেন- এটাই তাঁর কাছে ফিটনেসের সংজ্ঞা। ঘুমঘুম ভাব, ক্লান্তি যেন না হয়। কারণ ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর পরও যদি ঘুম ভাব থাকে তাহলে বুঝতে হবে শরীর পুরোপুরো ফিট নয়। সারাদিন কোনওরকম ক্লান্তি ছাড়াই ফিজিক্যাল কাজ করতে পারা- এটাই তাঁর কাছে আসল ফিটনেস।
খাবারের মাপ নির্ধারণ আর সংযম ডায়েটের খুব জরুরি ব্যাপার। খেতে ভাল লাগলেও খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত। তেল, নুন ডায়েট থেকে কমানো, চিনি বাস দিতে পারলে খুব ভাল। চিনির বদলে গুড় খাওয়া যেতে পারে।
সপ্তাহে ৬ দিন যদি এই রুটিনে চলা যায় তাহলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ইতিবাচক ব্যাপার। ‘চিট ডে’তে খুশী মনে খাওয়া যেতে পারে। তাহলে মন ভাল থাকবে। প্রত্যেকদিন কিছু না কিছু কাঁচা সবজি খেতেই হবে। জিমে যেতেই হবে- এমন কথা দেবলীনা মনে করেন না। বাড়িতেও যে কোনও ফর্মে এক্সারসাইজ করা যেতে পারে।
সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে প্রতিদিন রাতের খাওয়া সেরে ফেলতে পারলে ওজন কমবেই।