কুমোরটুলি ঘাটে সুস্বাদু বৈশাখী আড্ডা আর সঙ্গে বিখ্যাত লালু-ভুলুর ঘুগনি! এই ঘুগনির স্বাদকে কেন বলা হয় উত্তর কলকাতার সেরা, উত্তর খুঁজলেন ফুড কথা’র প্রতিনিধি সঙ্গে, কথাকলি শিল্পী দীপ্তাংশু পাল (Diptangshu Pal Kathakali Dance Artist and Choreographer) আর মোহিনিআট্টম শিল্পী গার্গী নিয়োগী (Gargi Niyogi Mohiniattyam Dancer and Choreographer)।
শালপাতার বাটিতে হলুদ রঙের ঘুগনি, পেঁয়াজ কাঁচালঙ্কার কুচির আড়াল থেকে তাকিয়ে থাকে মাটন চর্বির টুকরো। মুখে দিলেই গলে যায়। নিমেষে বাটি খালি! তখন মনে হয় আর এক বাটি চাই! কুমোরটুলির ঘাটে যাদের নিত্য যাতায়াত তাদের এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি সকলেরই হয়েছে। কুমোরটুলি চত্বর তো বটেই উত্তরের আনাচে-কানাচে খুব চেনা নাম ‘লালু-ভুলুর’ ঘুগনি। বহু যুগ আগে বাঙালি দর্শক মজেছিল ‘লালুভুলু’তে। ১৯৫৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল বাংলা ছবি লালুভুলু। কাহিনিকার লেখক ডঃ নীহাররঞ্জন গুপ্ত। ছবির পরিচালক অগ্রদূত। দুই অনাথ প্রতিবন্ধী যুবকের সুখেন দাস এবং পরেশ ধরের অভিনয় কাঁদিয়েছিল দর্শকদের। সেই ছবি ছিল দুই বন্ধুর কাহিনি। আর কুমোরটুলির এই ‘লালুভালু’ দুই ভাইয়ের গল্প।
কুমোরটুলি ঘাটের কাছে লালু এবং ভূলু দুই ভাইয়ের নামে দোকান। প্রায় দু’ দশকের বেশি সময় ধরে চলছে। বিখ্যাত মাটন চর্বির ঘুগনির জন্য। সকাল সাতটায় খুলে যায় দোকান। চলে রাত এগারোটা পর্যন্ত। ঘুগনি অবশ্য পাওয়া সকাল নটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। এই ঘুগনি ওঁদের বাড়িতেই তৈরি হবে। আগে রবিবার অর্ধ দিবস শুধু পাওয়া যেত। এখন চাহিদা বাড়ায় দোকানের সময় সীমাও বেড়েছে।
ঘুগনি প্রতি বাটির দাম বাইশ টাকা।