বাংলা ও হিন্দি সঙ্গীত জগতের জনপ্রিয় নাম হল সঞ্চিতা ভট্টাচার্য। 'সারেগামাপা লিটিল চ্যাম্পস' অনুষ্ঠান দিয়ে গানের জগতে পা রাখার পর তিনি বলিউডের ও টলিউডের বহু সিনেমায় গান গেয়েছেন। ছোটদের 'বাল গণেশা', 'ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা-২', কাঞ্চির মতো ছবির গান গেয়েছেন তিনি। সঞ্চিতা কাজ করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় মিউজিক ডিরেক্টর ইসমাইল দরবারের সঙ্গে। এবার জিয়ো বাংলার পর্দায় ধরা দিয়েছেন জনপ্রিয় এই গায়িকা।
প্র: 'সারেগামাপা লিটিল চ্যাম্প'-এ যাওয়ার আগে ছোট সঞ্চিতার কি গানের রেওয়াজ করতে ভাল লাগত?
সঞ্চিতা: না কখনোই না, আমার ভোরবেলা ওঠে রেওয়াজ করতে ভালো লাগত না। আমাকে জোর করে রেওয়াজ করতে হত। আমাকে বিভিন্ন ধরনের খাবারের লোভ দেখিয়ে রেওয়াজ করাত মা।
প্র: ছোটবেলায় তোমার মুম্বই জার্নিটা কেমন ছিল? তোমাকে তখন কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল?
সঞ্চিতা: আমি এই কষ্ট কখনও বুঝতেও পারিনি। তবে সেই সময় আমার মা-বাবা দুজনেই অনেক কষ্ট করেছিল আমার জন্য।
প্র: ছোটদের জন্য ও বড়োদের জন্য একই সাথে কাজ করেছ তুমি। এখন ঠিক কতটা পরিণত মনে হয় নিজেকে?
সঞ্চিতা: আমার মনে হয়ে না যে আমি এখনও কিছু অ্যাচিভ করতে পেরেছি বলে। প্রত্যেকটা সময় মনে হয় আমাকে এখনও কিছু ঠিক করতে হবে। এখনও অনেক সুর ঠিক করতে হবে।
প্র: তুমি ধরনের গান গাইতে সবচেয়ে বেশি ভালবাস?
সঞ্চিতা: আমি চেষ্টা করি সব ধরনের গান গাওয়ার। কিন্তু আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সেই গান গাইতে যেটা সবার মন ছুঁয়ে যাবে। তবে এটা ঠিক সব সময় সবার এক গান শুনতে ভাল লাগে না।
প্র: সকালে ওঠার পর তোমার কোন গান মনে পড়ে?
সঞ্চিতা: তখন কোনও গানই মনে পড়ে না। গান গলা থেকে বেরয়ে না তখন।
প্র: তাহলে সঞ্চিতা কি জল বাঁচানোর পক্ষে?
সঞ্চিতা: আমার শীতকালে সকালে উঠে স্নান করতে কষ্ট হয়। কিন্তু তাও কোনও শুটিং বা অন্য কোনও কাজ থাকলে আমি স্নান করেই বের হই। না হলে আমার ঘুম কখনও কাটবে না।
প্র: তুমি ৮০-র দশকের কোন গান তুমি গাইতে চাও?
সঞ্চিতা: আমার এরকম কোনো কিছু মাথায় আসেনি। তবে আশির দশকে যারা গান গেয়েছেন তাদের সমতুল্য হতে পারব না। আমারা এখনও তাদের গান কভার করি।
প্র: গান ছাড়া আর কী কী করতে তোমার ভালো লাগে?
সঞ্চিতা: আমি খুব গল্প করতে ভালোবাসি, আমি ডান্স করতে খুব ভালবাসি। এছাড়াও আমার কিছু পোষ্য আছে তাদের সঙ্গেও থাকতে আমার খুব ভালো লাগে।
প্র: সঞ্চিতা যেমন খেতে ভালোবাসে তেমন কি রান্না করতেও ভালোবাসে?
সঞ্চিতা: হ্যাঁ, আমার রান্না করতেও খুব ভালো লাগে। আমি সবাইকে রান্না করে খাওয়াতেও ভালোবাসি। তবে কিছু ভুল হলে সেটা যদি বলে দেয় তাহলে আমি দূঃখ পাই না বরং খুশি হই।
প্র: গানের ক্ষেত্রেও কি সঞ্চিতা গঠনমূলক সমালোচনা পছন্দ করেন?
সঞ্চিতা: প্রত্যেকটা মানুষ পারফেক্ট না। তাই নিজের ভুল গুলো যখন ধরিয়ে দেওয়া হয় আমাকে তখন তারপর আমি নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করি।
প্র: কোভিড পরিস্থিতিতে শিল্পীদের খুব খারাপ অবস্থা। এই নিয়ে তোমার কী মত?
সঞ্চিতা: আর ভালো লাগছে না। খুব ফাস্টট্রেটেড হয় পরছি। শিল্পীদের বেশিভাগ অর্থ উপার্জন হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ গানের অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যাচ্ছে যার ফলে অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
প্র: তোমার কী কী নতুন কাজ আসতে চলেছে?
সঞ্চিতা: আমার নিজের কিছু মিউজিক ভিডিও এসেছে আগের বছর। হোলিতে এসেছিল 'ব্রজগোপি খেলে হোলি', ১৫ আগস্ট একটি গান মুক্তি পেয়েছিল যার নাম 'ইন্ডিয়া'। এছাড়াও 'চ্যান্দ লামহো কি বাতে' মক্তি পেয়েছিল। এই সব গানগুলি ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে।