'সারেগামাপা বাংলা'র মঞ্চে গান গেয়ে বহু প্রতিভাবান গায়ক খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাদের মধ্যেই অন্যতম হলেন ঋক বসু। বাবার কাছে মাত্র আড়াই বছর বয়স থেকে গান শেখা শুরু করেছিলেন তিনি। হিন্দি ওয়েব সিরিজ 'বারিশ'-এ 'দিল কি গুলাক' গানটি গেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও বহু বাংলা গান গেয়েছেন। সম্প্রতি জিয়ো বাংলার পর্দায় ধরা দিয়েছেন তিনি।
প্র: বাঙালি মানেই বারো মাসে তেরো পার্বণ। তাহলে ফেস্টিভ সিজন কাটানোর পর কেমন আছ তুমি?
ঋক : করোনা আর লকডাউনের জন্য বারো মাসে তেরো পার্বণ হয়নি। আমার অনেকগুলো প্রোগ্রাম ক্যান্সেল হয়েছে এই কারণে। ঐ সময় আমি আর আমার পরিবারের সদস্যরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তবে আগের থেকে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্র: গানের জগতে আসা বা গান নিয়ে এগোনোর ভাবনা কী ছোট বয়স থেকেই ছিল?
ঋক : মায়ের কাছে গল্প শুনেছি যে আড়াই বছর থেকে গান শিখছি আমি। ছোটবেলায় বাবার কাছেই গান শিখেছি। আর ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল গান নিয়ে এগোনোর।
প্র: প্রথম যখন নিজেকে মঞ্চে দেখলে দর্শকদের মাঝখানে। তখন কী মনে হয়েছিল?
ঋক : আমার খুব ভালো লেগেছিল। সব সময় মনে হয়েছে যে এই জায়গাতেই আমার থাকা উচিত। একদম ছোটবেলায় একটু নার্ভাসনেস ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছি আমি। এখন দর্শকদের সামনে গান গাইতে মজা লাগে।
প্র: মঞ্চে গাওয়া নিয়ে তোমার সবচেয়ে মজার অভিজ্ঞতা কী আছে ?
ঋক : এই রকম ভাললাগার অভিজ্ঞতা প্রচুর রয়েছে। কিন্তু যখন বয়স্ক দিদিমা বা ঠাকুমারা আমার গানের প্রশংসা করেন তখনই আমার সবচেয়ে ভালো লাগে। তবে একটা অনুষ্ঠান করতে গিয়ে আমাকে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। সেই এক্সপিরিয়েন্সটা সবচেয়ে খারাপ ছিল আমার কাছে।
প্র: তোমার সবচেয়ে পছন্দের গান কোনটি?
ঋক : আমার পছন্দের গান নেই, কিন্তু 'শোনো এই তো সময়' গানটা আমার কাছে খুবই স্পেশাল। কারণ এই গানটি আমি আশা ভোঁসলের সামনে গেয়েছিলাম।
প্র: মিউজিকের জগতে তোমার ইনস্পিরেশন কে ছিল?
ঋক : মিউজিকের জগতে আমার সবচেয়ে বড় ইনস্পিরেশন ছিল আমার বাবা। আর মহম্মদ রফি, সোনু নিগম, অরিজিৎ সিংকেও আমার খুব ভালো লাগে। তবে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ইনস্পিরেশন হল আমার মা।
প্র: তোমার নতুন কী কাজ আসতে চলেছে?
ঋক : সম্প্রতি 'ও লাভলি' মিউজিক ভিডিও মুক্তি পেয়েছে, 'লাগেনা অব জিয়া' মিউজিক ভিডিওটা মুক্তি পেয়েছে যেটাতে আমি আর অন্বেষা দত্ত গান গেয়েছি। এই দুটি গান ইউটিউবেই মুক্তি পেয়েছে।