Emergency Department: জরুরী পরিস্থিতিতে কখন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত?

জরুরী পরিস্থিতিতে কখন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত? জরুরী বিভাগে কী ধরনের পরিষেবা দেওয়া হয়? Emergency Medicine Doctor-এর ভূমিকা কী? সাধারণ ভাবে কোন কোন এমার্জেন্সি ওষুধ বাড়িতে রাখা যায় ? এমার্জেন্সি মেডিসিন পরিষেবা কী? বিস্তারিত জানালেন এমার্জেন্সি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ পুরুষোত্তম চক্রবর্তী (Dr Purusatyam Chakraborty, Consultant - Head Emergency & Triage)

 

হাইলাইটসঃ
১। এমার্জেন্সি মেডিসিন পরিষেবা কী?
২। জরুরী পরিস্থিতিতে কখন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত?
৩।জরুরী বিভাগে কী ধরনের পরিষেবা দেওয়া হয়?

কোন অবস্থাতে এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে যাওয়া উচিত?
এমার্জেন্সি মেডিসিন বিষয়টি গত ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে চালু হয়েছে। এর আগে শুধুমাত্র এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্ট ছিল। কোন অসুস্থ মানুষ যেখানে গেলে তাকে চেকআপ করে ICU বা অন্য ওয়ার্ডে শিফট করে দেওয়া হত।

কিন্তু এখন এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে সমস্ত ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে। তৎক্ষণিক চিকিৎসা থেকে ভেন্টিলেটর, ডাইলিসিস সহ চিকিৎসার নানার নতুন পদ্ধতি সেখানে থাকে।

মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখ থাকে। তার জন্য সে দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা করায়৷ কিন্তু এসবের মাঝে যদি কখন হঠাৎ করে শরীর খারাপ হয়, অর্থাৎ বুকে ব্যথা, হাতে-পায়ে শক্তি না পাওয়া, চোয়ালে ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়, তখন মানুষ এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে আসে। এই ডিপার্টমেন্টে খুব তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করে তার চিকিৎসা করা হয়। এই সমস্ত রোগীদের ক্ষেত্রে, প্রথম কিছু ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা না করলে পরবর্তীকালে খুব লাভ হয় না। এই কারণেই এমার্জেন্সি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এমার্জেন্সি চিকিৎসা প্রয়োজন কীভাবে বুঝবে?

এমার্জেন্সি চিকিৎসার লক্ষণগুলি হল-
১। পেটের উপরের দিকে হঠাৎ ব্যথা শুরু হলে। এটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।
২। হঠাৎ শরীর একদিক অবশ হয়ে যাওয়া। এটি একটি স্লোকের লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টার মধ্যে ইমারজেন্সি ডিপার্টমেন্টে নিয়ে যাওয়া উচিত।
৩। বাচ্চাদের শরীরে হঠাৎ খিঁচুনি দেখা গেলে।
৪। এক্সিডেন্ট বা অন্য কোন কারণে শরীরের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আঘাত পেলে। অ্যাক্সিডেন্টে কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বাদ গেলে ৬ ঘন্টার মধ্যে যদি ইমারজেন্সি ডিপার্টমেন্টে নিয়ে আসা হয়, তবে তা জুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।

ভুল অসুখ ভেবে ওষুধ খাওয়া কতটা ক্ষতিকারক?
অনেক মানুষই আছেন, যারা হালকা পেটে ব্যথা, জ্বর বা খিঁচুনি, এ বিষয়গুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেন না। পেটে ব্যথার কারণ গ্যাস ভেবে ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। জ্বর হলে নিজেদের মত চিকিৎসা করেন। তাদেরকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে -

জ্বরের ক্ষেত্রে যদি দেখা যায়, কোন মানুষের বডি টেম্পারেচার অনেকটা সময় ধরে ১০০ এর উপরে থাকছে, কাঁপুনি হচ্ছে, জ্বরটা দুদিনের বেশি থাকছে বা শরীর অত্যাধিক দুর্বল মনে হলে এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে নিয়ে যেতে হবে। যাতে তার কি অসুখ হয়েছে সেটা তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা যায়।

কোন কোন কারণে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয়?
মাথা ঘোরা নানা কারণ হতে পারে। কানের সমস্যা থেকে মাথা ঘুরতে পারে, এছাড়াও প্রেসার ফল্ট, সুগার ফল্ট, ব্রেন স্ট্রোক হলে মাথা ঘুরতে পারে। এছাড়াও ঘনঘন অজ্ঞান হয়ে পড়লে, শরীর কোন অঙ্গে জোর না পাওয়া, ইত্যাদি লক্ষণ দেখা গেলে এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে নিয়ে যেতে হবে।

তবে যে কোন ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার সবচেয়ে জরুরী। ওষুধের দোকানে গিয়ে বা google থেকে ওষুধ জেনে নিয়ে ওষুধ খেলে, তা শরীরের অনেক ক্ষতি করে।

দর্শকদের প্রশ্ন:
হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে কী করা উচিত?
কেউ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে প্রথমেই দেখতে হবে যে রোগের পালস চলছে কিনা ও রুগী শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন কিনা। এই বিষয়গুলি যদি না থাকে তবে CPR সিস্টেমে বাইরে থেকে শ্বাস দিতে হবে।

এছাড়াও কেউ যদি হঠাৎ ঝিমিয়ে যায়, তবে তাকে হালকা বাঁদিকে করে শুয়ে রাখতে হবে। যদি এই সময়ে তার বমি হয়, তবে সে অনেকটা সুস্থ বোধ করবে।

বাচ্চারা খেলতে গিয়ে আঘাত পেলে কী করা উচিত?
বাচ্চাদের হাড় অনেক নরম হয়। তাই বাঁচার যদি হঠাৎ আঘাত পায়, তবে ব্যাথার জায়গায় বরফ, কেটে গেলে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক বাচ্চারাই মাটিতে পড়ে আঘাত পায়। সেই বাচ্চার অভিভাবকদের এটিই পরামর্শ যে, এই বিষয়টি অবহেলায় পেলেন আর কে হসপিটালে ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...