কম খেয়ে রোগা হতে চাইলে কী কী বিপদে পড়বেন আপনি?

ভাবছেন পুজোর আগে খাওয়াদাওয়া কমিয়ে রাতারাতি স্লিম হবেন! কম খেয়ে রোগা হতে চাইলে কী কী বিপদে পড়বেন আপনি? মাত্রাতিরিক্ত কম খাওয়ায় শরীরে কী ধরনের ক্ষতি হয়? আদর্শ ব্যালেন্স ডায়েট কেমন হওয়া উচিত, জানালেন ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট, ডায়াবেটিস এডুকেটর ডাঃ দেবপ্রিয়া সেনগুপ্ত (Dt Debapriya Sengupta, Clinical Nutritionist & Diabetes Educator)

ডাঃ দেবপ্রিয়া সেনগুপ্ত জানিয়েছেন,  কম খেলে বা না খেলে রোগা হওয়া যায় এ কথা একেবারেই ঠিক নয়। খেতে হবে সঠিক মাত্রায় এবং বুঝে কারণ পরিমান মতো খেলে তবেই রোগা হওয়া যায়। কম খেলে রোগা হওয়া যায় না, বরং আরও রোগ বাড়ে। সাময়িক রোগা হলেও পরে আবার ওজন বেড়ে যায়। খাবার না খেয়ে সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধ খেয়ে রোগা হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বড় বিপদ। কারণ খাবারের যে পুষ্টিগুণ তা যদি আর্টিফিশিয়াল প্রোডাক্ট দিয়ে নেওয়া হয় তাহলে সেই পণ্যটির রাসায়নিক থেকে শরীরে পাথরের সমস্যা হতে পারে।

গল স্টোন, কিডনি স্টোন, কোলেস্টারল বেড়ে যেতে পারে। হার্বল প্রোডাক্ট, প্রোটিন শেকে এই ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়েই থাকে। ওজন কমানো যদি মূল লক্ষ্য হয় তাহলে সব ধরনের খাবার খেতে হবে তবে পরিমানে অল্প। কোনও টাই বেশি না আবার কমও নয়। সব কিছুই খেতে হবে ভারসাম্য রেখে। ডায়েট মেনে চলতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে ভিটামিন, মিনারেলস আর প্রোটিন। শিশুর চলাফেরা, শারীরিক কসরতের মধ্যে থাকলে তাকে আর আলাদা করে ওয়ার্ক আউটের দরকার নেই। পরিমান মতো খাওয়াতে হবে শিশুকে। জাঙ্ক ফুড একেবারেই নয়। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে সময় একটা বড় ব্যাপার। তাদের খেতে হবে সময় ধরে। দু ঘন্টা অন্তর খেতে হবে যাতে গ্লুকোজ লেভেল ঠিক থাকে। ডায়াবেটিক রোগীরা ওজন কমাতে চাইলেও একই পদ্ধতি মেনে চলতে হবে।ভাত খেলেই মোটা হয়ে যায় এটা ভুল ধারণা। মেপে খেতে হবে। ওজন কমা বাড়ার সঙ্গে ঘুমের দু রকম সম্পর্ক। ওজন বাড়লে ঘুম পাতলা হয়ে যায়। আর কম ওজনের ক্ষেত্রেও ঘুম কমে যায়। কারণ কম ওজনের জন্য শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভাল ভাবে কাজ করতে পারে না তখন ঘুমে প্রভাব পড়ে

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...