এদেশে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রতি বছর দেশের প্রায় ৬৭ হাজার মানুষ ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে পুরুষদের সংখ্যাই বেশি। কর্কট রোগের চিকিৎসায় এদেশে ক্রমশ আধুনিক হচ্ছে চিকিৎসা পরিকাঠামো। দেশে ও রাজ্যের বহু চিকিৎসা কেন্দ্রে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ফুসফুসের ক্যানসারের চিকিৎসা করা হয়। রাজ্যের এমনি একটি চিকিৎসা কেন্দ্র হল বরাহনগরের 'বাইন হাসপাতাল'। বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে স্বল্প মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। সেখানকার ওঙ্কোলজিস্ট ডাঃ শশাঙ্ক শেখর দাস ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানিয়েছেন জিয়ো বাংলার প্রতিনিধিকে।
তিনি বলেছেন, ফুসফুসের ক্যানসার যদি অ্যাডভান্স স্টেজে চলে যায় তাহলে ওজন কমে যাবে। কোনও কোনও রোগীর একমাসের মধ্যে পাঁচ কেজির বেশি ওজন কমে যেতে পারে। এই সময়ে ক্যানসার যদি পিঠের হাড় পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় তখন সেখানে ব্যথা হবে। সাধারণত এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়।
ক্যানসার বেশিমাত্রায় ছড়ানোর অন্যতম কারণ ফাস্ট ফুড। ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিতভাবে ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস কর্কটও ডেকে আনতে পারে। বায়ু দূষণ, অ্যাসবেস্টার্স, নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটারের কাছাকাছি যারা কাজ করে তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। এই ধরনের পেশার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।