‘ডাঃ বক্সী’র আড্ডায় পরমব্রত-বনি

রহস্যের মোড়কে পর্দায় আসছেন 'ডাঃ বক্সী'। থ্রিলার আর বাস্তব জীবনকে ছবির মধ্যে দেখিয়েছেন পরিচালক সপ্তাশ্ব বসু। মুখ্য ভূমিকায় পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। গল্পে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ডাঃ বক্সীর চরিত্রটার মধ্যেও রয়েছে পরতে পরতে রহস্য। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকেও। এই ছবির শ্যুটিংয়ের নানা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে 'জিয়ো আড্ডা উইথ অনিন্দিতা সরকার' অনুষ্ঠানে জানালেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও বনি সেনগুপ্ত।

প্র: পরম তুমি খুব বেছে বেছে ছবি সিলেক্ট করো। এই চরিত্রটা সিলেক্ট কেন করলে?

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়: আমার থেকেও চুজি মানুষ আছে। প্রথমত, শুধু তো আর বেছে বেছে এমন ছবি করা যায় না যা খুব সফল হবে। দ্বিতীয়ত, শুধু নামকরা তিনজনের সঙ্গে কাজ করাটাও ঠিক নয়। অল্পবয়সী যারা আসছেন কাজ করতে তাদের সঙ্গেও কাজ করতে হবে। তবে এটাও ঠিক যে তাদেরও দায়িত্ব থাকবে একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় নিয়ে আসার। যদি বিষয়টা ইন্টারেস্টিং না হয় তাহলে আমাকে ‘না’ বলতে হয়। কারণ আমাকে হিন্দি ও বাংলাতে পাশাপাশি কাজ করে যেতে হচ্ছে। তবে চেষ্টা করি ভাল কাজ শুনে ‘হ্যাঁ’ বলার।

প্র: বনি, তুমি আগে কখনও নেগেটিভ ক্যারেক্টার করনি। তাই প্রথমবার নেগেটিভ ক্যারেক্টারে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

বনি সেনগুপ্ত: চরিত্রটার অনেক ডার্ক শেড রয়েছে। চরিত্রটা প্রচন্ড নেগেটিভ ছিল বলে আমাকে অনেক গম্ভীর থাকতে হয়েছে। সপ্তাশ্ব যখন আমাকে চরিত্রটা নিয়ে বলেছিল তখন খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। কারণ এই ধরনের চরিত্র আমি আগে করিনি। অভিনয় করার সময়েও চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দেওয়ার।

প্র: মেইন স্ট্রিম ছবি ছাড়াও তুমি বিভিন্ন ধরনের রোল করার চেষ্টা করছ। তাহলে তুমি কী এখন এই ধরনের চরিত্রই করতে চাও?

বনি সেনগুপ্ত: চেষ্টা করছি। সব সময় একজন অভিনেতা চায় নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে। তাই এমন সুযোগ পেলে সত্যিই খুব ভাল লাগে।

প্র: পরম, তুমি একজন অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা ও প্রযোজনাও করো। তাই অন্য পরিচালক সঙ্গে কাজ করার সময় তুমি কতটা কমর্ফোটেবল হতে পারো?

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়: আমি চেষ্টা করি আমার ডিরেক্টর সত্ত্বাটাকে পুরোপুরি সুইচ অফ করে কাজ করার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই যখন দেখি অব্যবস্থার কারণে একটা খুব সহজ জিনিসকে রকেট সায়েন্সে পরিণত করা হয়। তখন আমি বলি, ‘তোরা বোস আমি শেষ করে দিই ব্যাপারটা’। তবে বেশিরভাগ সময় সেটা করতে হয় না। আসলে আমি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে চাই। কিন্তু যখন একটা সহজ কাজের জন্য সেটা আটকে যায় তখন আমি একটু বিরক্ত হয়ে যাই।

প্র: এই ছবির শ্যুটিং কোথায় কোথায় করা হয়েছে?

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়: বেশির ভাগটা কলকাতায় হয়েছে। একটা দৃশ্যের শুটিংয়ের জন্য মন্দারমনি যেতে হয়েছিল।

প্র: শ্যুটিংয়ের কোনও মজার এক্সপিরিয়েন্স আমাদের সঙ্গে শেয়ার করো?

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়: আমাদের কলকাতায় শ্যুটিং মানে সকাল সাতটার মধ্যে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োর সামনে সবাইকে হাজির হতে হবে। মজাটা এরপরেই শুরু হয়। সবাই একসঙ্গে মিলে যেখানে শ্যুটিং হবে সেখানে যায়। এটা খুবই একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় যেটা একা করা যায় না। সবাইকে নিয়েই করতে হয়।

প্র: বাংলায় এই ধরনের গল্প নিয়ে আগে ছবি আগে মনে হয় না হয়েছে। আজকের দিনে এটা খুবই প্রাসঙ্গিক। আমাদের সমাজেও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে যা অনেক সময় আমরা জানতে পারি আবার অনেক সময় জানতে পারি না। তাই ছবিটা নিশ্চই ভাল চলবে। আমরা একবারেই ছবিটা দেখে বলে দিতে পারি ছবিটা বাজে হয়েছে কিন্তু তার পিছনে যে অনেক পরিশ্রম রয়েছে তা জানে চায় না।

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়: সত্যি কথা বলতে মানুষ যখন এই কথাটা বলে তখন রাগ হয়। কিন্তু এটাও মেনে নিতে হবে যে দর্শকদের এটা বোঝার কথা নয় যে আমরা কতটা কষ্ট করেছি। তারা কনজিউমার, তাদের কাজ হল টিকিট কেটে ছবি দেখা আর তারপর ছবি সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া জানানো। তাই এটা ভেবে লাভ নেই।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...