প্রতিদিন নিয়ম করে নাচ কীভাবে অ্যান্টিএজিং-এ সাহায্য করে? শরীরকে ডিটক্স করতে নাচ কেন জরুরি? চেহারায় ও মনে বয়সের ছাপ রুখতে রোজকার রুটিনে কী কী নিয়ম মেনে চলা উচিত? পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী গুরু সঞ্চিতা ভট্টাচার্য (Sanchita Bhattacharya, Dancer)
সকাল থেকে সারাদিন নাচই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। হয় প্র্যাকটিস, নয় কোরিওগ্রাফি, লেখায় ব্যস্ত থাকেন। অবসরেও মাথার মধ্যে চলে নাচ নিয়ে ভাবনা। বিশ্বাস করেন সৌন্দর্য আসলে ভিতর থেকে আসে। তা নির্ভর করে সুস্থ ভাবনা এবং জীবনযাত্রার ওপর।
গুরু সঞ্চিতা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আমাদের দেশ গোটা বিশ্বকে যোগ শিখিয়েছে। রোগীদের যেমন মনিটর থাকে তেমন আমাদের ত্বক হল শরীরের মনিটর। ভিতর থেকে শরীর মনে মানুষ যদি সুস্থ থাকে তাহলে সেটা প্রতিফলিত হয় চেহারায়। থাকতেই হবে হেলদি ইন্টিং অভ্যাসে।
কথায় আছে নৃত্য শিল্পীদের বয়স বাড়ে না। তা কি সত্যি?
সঞ্চিতা ভট্টাচার্যর কাছে বয়সের তিন রকম ব্যাখ্যা আছে। প্রথমটি মনের বয়স, দ্বিতীয়টি আমাকে দেখতে কেমন লাগছে অর্থাৎ দেহের বয়স, আর তৃতীয় জন্ম-বয়স।
জন্ম-বয়স সেটি আলাদা। দেহের বয়স কম রাখতে গেলে যোগা, সঠিক জীবনযাত্রায় থাকতে হবে। নাচ খুব সাহায্য করে। শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। কোলাজিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। কোলাজিন উৎপাদন বাড়লেই চেহারা হয়ে ওঠে ঝকঝকে।
নাচের আনন্দ মস্তিষ্কে পজেটিভ ওয়েভ আনে। এটা একটা কম্বাইনড এফেক্ট তার জন্য নৃত্যশিল্পীদের বয়স বাড়ে না। সন্তানধারণের সময় নাচে বিরতি আসে। কিন্তু স্বাভাবিক জীবনে ফিরলে আবার নাচে ফেরা যায়। লাফটার লাইন, রিঙ্কেলস, স্ট্রেচ মার্ক এসবই বেঁচে থাকার একটা অংশ। পরিপূর্ণ ভাবে জীবনকে উপভোগ করতে চাইলে এই সব কিছুর উদযাপন করা উচিত। নাচ শরীরচর্চার অঙ্গ, রক্ত সংবহন, ঘামের মাধ্যমে ডিটক্স হওয়া, কোলাজিন উৎপাদন তার সঙ্গে সুস্থ খাদ্যভ্যাস মিলিয়ে শরীর সুস্থ থাকে।