‘মায়া’, ‘সাদা রঙের পৃথিবী’র পরিচালক রাজর্ষি দে’কে সবাই চেনেন, কিন্তু ‘ভোজনরসিক রাজর্ষি দে’ কেমন, আবিষ্কার করল ‘ফুডকথা’। সামনে এলো তাঁর কোন অজানা দিক।
কাজের মধ্যে যতই ডুবে থাকুন না পরিচালক তিনি কিন্তু একটি ডাকে সাড়া না দিয়ে পারেন না। কীসের সেই ডাক? তাঁর ঘনিষ্ঠ মানুষরা এক কথায় বলেন ‘কীসের আবার কাবাবের!’।
কাবাব খেতে খুব ভালবাসেন পরিচালক। কলকাতার বিশেষ করে উত্তর কলকাতার কাবাব-মানচিত্র তাঁর নখদর্পনে। এই রবিবার তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন বাগবাজার স্ট্রিটের কাবাব ভ্যান ‘ক্রিভার্স’এ।
নিখাদ বাঙালিয়ানার উত্তর কলকাতায় আমেরিকান স্টাইলের কাবাব ভ্যান। লাহোরী কাবাব, ক্যালকাটা কাবাব এখানকার সিগনেচার। শুরু হয় ৩০ টাকা থেকে। ভারত-পাকিস্তান মিলেমিশে যায় এখানে প্রতিদিন।
টিক্কা, ফিশ টিক্কা, কাতলা পেটি, কাঁকড়া, মহারানি কাবাব, মহারাজা কাবাব পাওয়া যায়। বাড়ির তৈরি মশলা দিয়ে কাবাব বানানো হয়। প্রতিদিন বিকাল পাঁচটা থেকে দশটা পর্যন্ত খোলা। উইকএন্ডে সময়টা একটু বাড়ে। আছে উইকএন্ড স্পেশাল মেনুও।
‘মাল্টি স্টারার’ ছবি পরিচালক রাজর্ষি দে’র ছবির সিগনেচার। ছবির শ্যুটিং্যে নিয়েও স্বাদের খোঁজ চলতে থাকে তাঁর। বেনারসে ‘ সাদা রঙের পৃথিবী’ শ্যুটিং করতে গিয়ে কোথায় পাওয়া যায় ভাল কাবাব সে খোঁজ চলেছে। ভ্যান, মেপআপ শ্যুটিঙের হালচাল আর খুঁটিনাটি দরকার নিয়ে যেমন তাঁর কাছে ফোনকল আসে তেমনি আসে অন্য কলও। যেমন ‘আজ ভাল বোয়াল আছে দাদা’ , ‘ দাদা আজ ভাল একটু কুমড়ো আর চিংড়ি পাওয়া গেছে- চচ্চড়ি হবে নাকি’। রান্নাটা তাঁর সেটে একটা ব্যাপার।