স্তন্যদায়ী মায়েদের (Breastfeeding Mothers) ডায়েট কেমন হওয়া উচিত? কোন কোন খাবার তাঁদের বাড়তি পুষ্টি যোগায়? কোন ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকবেন? ধূমপানের অভ্যাস মাতৃত্বে কীভাবে প্রভাব ফেলে? পরামর্শ দিলেন ডায়েটিশিয়ান শ্রুতি কেজরিওয়াল (Shruti Kejriwal,Dietician)
শ্রুতি কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, স্তন্যদায়ী মায়েদের জন্য চাই হেলদি ব্যালেন্স ডায়েট। দ্বিতীয়ত বাড়ির খাবার খেতে হবে। যে যে খাদ্য বস্তুতে মায়ের সমস্যা হয় সেই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। মা যেমন খাবেন শিশুর দেহে তার প্রভাব পড়বে। খাবার দেখে মায়ের কী অনুভূতি হচ্ছে সেই বোধও প্রভাবিত করে শিশুকে। খাবার হতে হবে সহজপাচ্য। নতুন মায়েদের কমপক্ষে ৬ মাস স্তন্য দান করতে হয়। শিশুর স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে মাতৃদুগ্ধ অতি জরুরি। অক্সিটোসিন ও প্রোল্যাক্টিন হরমোন ক্ষরণে স্তনের দুধ তৈরি হয়। খাবার হতে হবে সহজপাচ্য। নতুন মায়েদের কমপক্ষে ৬ মাস স্তন্য দান করতে হয়। শিশুর স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে মাতৃদুগ্ধ অতি জরুরি। প্রসব পরবর্তী সময়ে মায়ের দরকার গ্যালাক্টাগগ । তাই ডায়েটে বাদাম জাতীয় খাবার রাখতে হবে। বার্লি, মৌরির জল, তিল তেল খাওয়া যেতে পারে। প্রোটিনের জন্য চাই ছানা, পনির, চর্বিহীন মাংস, হাঁস-মুরগি, মাছ, ডিম, ডাল জাতীয় খাবার,গোটা শস্য এবং সবুজ সবজি। মরসুমি ফল ও সবজি খেতে হবে নিয়ম করে।
মা ও শিশুর নৈকট্যই মায়ের শরীরে দুধের সঞ্চার করে। কোলেস্ট্রাম অর্থাৎ সন্তান জন্মের পর প্রথম যে দুধ বের হয়,তা শিশুকে খাওয়ানো আবশ্যিক।