হাতে মাত্র আর ২০ দিন তারপরেই শুরু হবে বাঙালীদের প্রীয় শারদোৎসব। আর সেই উপলক্ষে চলছে বাঙালীদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কিন্তু যাদের জন্য সাধারণের মানুষের এই উন্মাদনা সেই পূজা কমিটিরা কতটা তৈরী? সেই বিষয় জানাতে জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান অনুষ্ঠানে সঞ্চালিকা মনীষার সাথে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতার দর্জিপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির সদস্যবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর সন্দীপ বোস, দেবকুমার ধর ও যুগ্মসম্পাদক সৌমো ব্যানার্জী। তাদের কাছ থেকে শুনে নিলাম তাদের দুর্গাপুজোর ইতিহাস। ৮৭বছরের এই ইতিহাসে রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ছোয়া। সালটা ১৯৪৪ কি ৪৫। দিবারাত্রি চলছে শত্রুপক্ষের টহলদারী। তাই একটু সন্ধ্যা হলেই নিভিয়ে দিতে হত ঘরের আলো, পাছে শত্রুপক্ষ না বিমান হানা করে দেয়। তাই ভয় ও আনন্দের মিশ্রনেই ঠিক করা হল যে শুরু হবে দুর্গা পুজো। সেই যে শুরু তারপর ৮৭ বছরের এই যাত্রাপথে সাবেকিভাবেই চলে আসছে এই পুজো। প্রাথমিকভাবে পাড়ার কালীমন্দিরে পুজো শুরু হলেও পড়ে তা মন্দীরের বাইরে আনা হয়। পুজোর উদ্বোধন থেকে শুরু করে বিজয়া দশমী পর্যন্ত চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয় নি। চতূর্থীর দিন থ্যেলাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের দিয়ে উদ্বোধন শুরু। সপ্তমীর দিন পথ শিশুদের জন্য থাকে মহাভোজের আয়োজন। পুজোর চারটি দিন কখনও কুইজ শো আবার কখনও গানের লড়াইয়ের মত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে চলে তাদের উজ্জাপন। প্রতিদিন সকল দর্শনার্থীদের জন্য থাকে ভোগ প্রসাদ। কবি সুভাষ থেকে দমদমগামী যে কোনো মোট্রোয় কোরে শ্যামবাজার, সেখান থেকে অটো করে পৌঁছে যেতে পারেন দর্জিপাড়া সার্বজনীন দুগোৎসব কমিটির পূজা মন্ডপে।