ক্রাশ ডায়েট কী? ক্রাশ ডায়েট ভাল না খারাপ? বিস্তারিত জানালেন ডায়েটিশিয়ান সঙ্গীতা মন্ডল(Sangita Mondal, Dietitian)
সঙ্গীতা মন্ডল জানিয়েছেন, ক্রাশ ডায়েট এখন অনেকের জীবনযাত্রার সঙ্গেই ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। সারাদিন শুধু ফলের রস, সবজির রস, শুধু স্টু খাওয়া ভাল কিন্তু সারাদিন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত। এগুলোকে লিক্যুইড ডায়েটের মধ্যে ফেলা হয়।
ব্যালেন্স ডায়েট হল সম্পূর্ণভাবে কার্বহাইড্রেড প্রোটিন ফ্যাট এবং ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্স সঙ্গে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্স ভিটামিন মিনারেলস সমান পরিমানে থাকে, কিন্তু ক্রাশ ডায়েট কার্বহাইড্রেড থাকে না। ইচ্ছেমতো ফ্যাটফিশ বা কার্বহাইড্রেড বন্ধ করে দেখা উচিত নয়। সকলেরই সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত। ভাত-ডাল-মাছ-প্রোটিন থাকা দরকার।
প্রোটিন-কার্বহাইড্রেড বাদ দিয়ে ডায়েট করলে তার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ত্বকের নিচে চারটি স্তর আছে। হাড়ের ওপর মাংসপেশি, তারওপর ফ্যাটের স্তর। তারওপর ত্বক। ক্রাশ ডায়েটের ফলে মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদের বিএমআর লেভেল ঠিক রাখার জন্য যতটা শক্তির প্রয়োজন তার চেয়ে কম ক্যালোরি গ্রাহণ করলে ফ্যাট চারদিক থেকে ঝুলতে শুরু করে। ব্যালেন্স ডায়েটে ওজন কমে কিন্তু মাসল লস হয় না। বিএমআর রেট প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা। মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৪০০ স্বাভাবিক। পুরুষদেরক্ষেত্রে ১৮০০। তবে এই রেট প্রত্যেকের আলাদা। শিশুদের আবার অনেকটা কম। জিমে যে ডায়েট চার্ট দেওয়া হয় তাও ক্রাশ ডায়েটের মধ্যে পড়ছে। ক্রাশ ডায়েটের জন্য হরমোন জনিত সমস্যা, অনিদ্রা, চোখের নিচে অকাল বলিরেখা, ত্বক আলগা হয়ে যায়। এছাড়া হরমোনের সমস্যার জন্য থাইরয়েড, পিসিওএস, পিসিওডি লক্ষণ মেয়েদের মধ্যে ভীষণভাবে চলে আসছে। যা পরবর্তী সময়ে বড় সমস্যা তৈরী করে। এইগুলো ব্যালেন্স ডায়েটে ট্রিটমেন্ট করতে গেলে দেরী হয়ে যায়।
ক্রাশ ডায়েটের জন্য জন্য আমাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়। হজমের সমস্যা, ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাওয়া, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো রোগ খুব তাড়াতাড়ি হয়।
ওজন কমানোর জন্য চাই ব্যালেন্স ডায়েট। শরীর অনুযায়ী প্রোটিন-ফ্যাট-কার্বোহাইড্রেড হিসেবে কাহোয়া যেতে পারে। অলিভ অয়েল, মাখন, ঘি ডায়েটে রাখতেই হবে।