কাইরোপ্র্যাকটিক ট্রিটমেন্ট আসলে কী?

কাইরোপ্র্যাকটিক ট্রিটমেন্ট (Chiropractic Treatment) আসলে কী? পিঠ এবং পায়ের ব্যথায় এই পদ্ধতি কীভাবে কাজ দেয়? ফিজিওথেরাপির (Physiotherapy) থেকেও এটি বেশি উপকারী? বিস্তারিত জানালেন কাইরোপ্র্যাকটিক সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ অনিন্দ্য সামন্ত (Dr.Anindya Samanta, Sr. Consultant Chiropractor)

কাইরোপ্র্যাকটিক ট্রিটমেন্ট বিষয়টি কী, সে প্রসঙ্গে ডাঃ অনিন্দ্য সামন্ত জানিয়েছেন, বিদেশে কয়েকশো বছর ধরে চলে আসছে এই পদ্ধতি। ভারত তথা বাংলায় ‘কাইরোপ্র্যাকটিক’ বেশ নতুন বলা যায়।

ডি.ডি পালমার এই চিকিৎসা পদ্ধতির জনক। তিনি মনে করতেন এই পদ্ধতির মাধ্যমে যদি মানব দেহে স্নায়ু তন্ত্রের শক্তি বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে শরীর নিজেই নিজেকে নিরাময় করতে সক্ষম হবে।

মেরুদন্ড ও পায়ের ব্যথা সারাতে কাইরোপ্র্যাকটিক খুব উপযোগী। শোয়া, হাঁটাচলা, চেয়ারে বসে কাজ, সবটা গুরুত্ব পায়। অতিমারীর পর 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' ব্যবস্থায় একটানা বসে কাজের প্রবণতা বেড়েছে। ৮ ঘন্টার কাজ বেড়ে হয়েছে ১০-১২ ঘন্টা। একভাবে বসে থাকার কারণে মেরুদন্ডে চাপ পড়ছে। অস্থি সন্ধিতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সেগুলো ঠিক জায়গায় থাকছে না। কাইরোঠিক চিকিৎসায় সন্ধিগুলিকে ঠিক জায়গায় আনা হয়। দুর্ঘটনাজনিত আঘাতও সারে। এই পদ্ধতিতে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কোনও ওষুধ বা মেডিসিন ব্যবহার করা হয় না। পুরোটাই থেরাপি। যে কোনও হাড় ও মাংসপেশীর ব্যথায় কাইরো প্র্যাকটিক করা যায়। মূল সমস্যাকে ডায়াগনোসিস করার পর চিকিৎসা শুরু হয়। তবে সংক্রামক ব্যাধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হঠাৎ কমে যাওয়া এসব ক্ষেত্রে কাইরোপ্র্যাকটিক ট্রিটমেন্ট করা যায় না। এছাড়া  সিভিয়ার অস্টিওপোরোসিস, ক্যানসার আক্রান্তরাও এই চিকিৎসার বাইরে থাকবেন। অত্যাধিক বয়সও বাধা।  ফিজিওথেরাপি ও কাইরো প্র্যাকটিক দুই চিকিৎসা পদ্ধতির কোনও দ্বন্দ নেই। রোগীর জন্য দুই দরকার।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...