হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অপারেশন ছাড়াই পাইলস রোগের নিরাময় সম্ভব?

বৃহদান্ত্রের শেষাংশে রেকটামের ভেতরে ও বাইরে থাকা কুশনের মতো একটি রক্তশিরার জালিকা থাকে, যা প্রয়োজন সাপেক্ষে সংকুচিত ও প্রসারিত হয় যা আমরা পাইলস নামে জেনে থাকি। যখন পায়ুপথে এসব শিরার সংক্রমণ বা প্রদাহ হয় এবং চাপ পড়ে তখন পাইলস বা হেমোরয়েডসে প্রদাহ হয়। যাকে সাধারণ ভাষায় পাইলস বলা হয়।

অপারেশন ছাড়াই পাইলস রোগের নিরাময় সম্ভব? কী বলছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি, বিস্তারিত জানালেন ডাঃ দীপায়ন দাস (Dr Dipayan Das, B.H.M.S Calcutta University)

ডাঃ দীপায়ন দাস জানিয়েছেন, পাইলস সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে- ১) ইন্টারনাল হেমারেজ ২) এক্সটারন্যাল হেমারেজ ৩)প্রোলাপসড হেমারেজ ৪) থ্রম্বোসড হেমারেজ

ইন্টারনাল হেমারেজ বা অভ্যন্তরীণ পাইলস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যথাহীন রক্তপাত হয়। এক্সটারন্যাল হেমারেজ  বা বাহ্যিক পাইলসে ব্যথা আর রক্তপাত দুই হয়। প্রোলাপসড হেমারেজে পাইলস ফুলে বাইরের দিকে বের হয়ে আসে, অত্যন্ত যন্ত্রণা হয়। থ্রম্বোসড হেমারেজে ভিতরের শিরা-ধমনী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যখন রক্ত সংবহন অচল হয়ে যায়।

পাইলস, ফিশার, ফিশচুলা জাতীয় সমস্যা সঠিক জীবনযাত্রার সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। এই রোগ এড়াতে  রেড মিট, অ্যালকোহল, তেলমশলা, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকা, মূল খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে প্রচুর জল ও ফল খাওয়া দরকার। রাত জাগার অভ্যাস ক্ষতিকারক। আর নিয়মিত শরীর চর্চা জরুরি। পাইলস যে কোনও বয়সে হতে পারে। তবে ৪৫-৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাদেখা যায়।

সার্জারি করলেই যে পাইলস সারবে এমন ১০০ শতাংশ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় যে সমস্ত ওষুধ ব্যবহার করা হয় তাতে পাইলসের সঙ্গে তার কারণগুলোরও সারানো হয়। পাইলস-এ রক্তপাতের সমস্যায় হোমিওপ্যাথিতে অব্যর্থ সমাধান আছে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী এমন ধারণা থাকলেও, চিকিৎসা কত দিন ধরে চলবে নির্ভর করে রোগের ওপর। ক্রনিক অসুখের নিরাময়ে চিকিৎসা একটু সময় সাপেক্ষ।  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...