পুজোর প্রাক্কালে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাস্ত প্রত্যেকটি পুজোকমিটি।সেই ব্যাস্ততার মধ্যেও সময় বার করে আমাদের সঙ্গে আড্ডায় মাতলেন 'ব্রহ্মপুর হরিসভা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি'।গল্পের ছলে উঠে এল তাঁদের মণ্ডপ সজ্জা, ক্লাবের নেপথ্য কথা ও পুজো সংক্রান্ত নানা অজানা তথ্য। ১৯৬৩সালে জন্ম হয় ক্লাবটির। এবছর ৫৫ বছরে পদার্পন করলো তাদের ক্লাবটি।প্রথম দিকে সাবেকিয়ানায় মায়ের আরাধনা হলেও ২০১৩সাল থেকে সমকালীন শিল্পের সাথে নিজেদেরকে সংযুক্ত করেছেন।এবছরে তাদের থিম,'প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মন্দিরকে তুলে ধরা'।শহরাঞ্চলে আমরা যে সমস্ত মন্দির দেখতে পাই তা মজবুত বালুসিমেন্ট দিয়ে তৈরী করা থাকে।কিন্তু গ্রামাঞ্চলের দেবালয় গুলোতে একটু ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠে।সেখানকার মন্দির গুলো সজ্জিত থাকে মাদুর, বাঁশ, খড়, পাটকাঠির ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে সঙ্গে থাকে নানা আলপনা। সেই আটচালাকেই তুলে ধরা হয়েছে তাদের শিল্পকার্যের মধ্যে দিয়ে।প্রয়াত প্রসিদ্ধ চিত্রকর যামিনী রায়ের চিত্রকলা উপস্থাপন করা হয়েছে তাদের মন্দিরগাত্রে।মণ্ডপ সজ্জার সাথে প্রতিমার আদলের কোনো মেল বন্ধন নেই।তাঁদের মতানুযায়ী, প্রথমে দেবীর রূপ প্রদান করা হয়, তারপরই আসে দেবালয়ের আকৃতি।প্রতিমা আকৃতির সঙ্গে মন্দিরের সামঞ্জস্য থাকে না সেই বাস্তব চিত্রটি তুলে ধরেছেন।দর্শনার্থীদের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে নানা সুব্যাবস্থাও।মণ্ডপটি উদ্বোধন হচ্ছে চতূর্থীর দিন।গ্রাম বাংলার মন্দিরের শিল্প দেখতে হলে আপনাদের আসতেই হবে 'ব্রহ্মপুর হরিসভা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি' র পুজোমণ্ডপে।মণ্ডপে যাওয়ার সহজতম পথ মেট্রো করে মাস্টারদা সূর্যসেন অথবা গীতাঞ্জলি নামলেই দেখতে পাবেন রাস্তার ধরে সুজজ্জিত হয়ে আছে 'ব্রহ্মপুর হরিসভা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি' র পুজোমণ্ডপ।