গ্ৰীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাওয়ার জন্যে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে দেহের ইমিউনিটি স্ট্রং থাকলে সব ধরনের সমস্যাই এড়িয়ে চলা যায়। কিন্তু ইমিউনিটি বুস্ট-আপ করার জন্য ডায়েট মেনে বিশেষ কিছু খাবার খেতে হবে। কিন্তু মানব দেহের ইমিউনিটি বুস্টয়াপ করার জন্য কী কী খাবার খাওয়া উচিত?
এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন ডায়েটিশিয়ান ব্রততী কর্মকার (Brotati Karmokar)।
ডায়েটিশিয়ান ব্রততী কর্মকার (Brotati Karmokar) বলেছেন, শিশুদের ইমিউনিটি নিয়ে আমাদের চিন্তা করা দরকার। যেহেতু স্কুলগুলো খুলে গিয়েছে তাই এখন শিশুদের ডায়েটে ইনক্লুড করা যেতে পারে আমন্ড, ওয়ালন্যাট ও পেস্তা। এগুলি খাওয়ালে শিশুদের যেমন মেন্টাল গ্ৰোথ ভাল হবে ঠিক একই ভাবে ইমিউনিটি বুস্টয়াপ করবে। আরও একটা জিনিস শিশুদের দেওয়া যেতে পারে যেটা হল সাধারণ লেবুর জল। লেবুতে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। লেবু-জল খেলে শিশুদের খিদেটাও বাড়বে। এই দুটো জিনিস ডায়েটে রাখা উচিত। ইমিউনিটি স্ট্রং করাটা প্রত্যেক মানুষেরই দরকার। কারণ ইমিউনিটি ঠিক থাকলেই আমাদের দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অনেকে দেখা যায় খুব সহজেই ঠান্ডা লেগে যায়। শুধুমাত্র ইমিউনিটি কম বলেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই ইমিউনিটি বুস্ট-আপ করতে আমাদের প্রত্যেক দিন তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া উচিত। তার পাশাপাশি অ্যামন্ড, ওয়ালন্যাট ও পেস্তা খাওয়া উচিত। তবে শুধুমাত্র 'ভিটামিন সি' বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করলে ইমিউনিটি বাড়ে না। এই কারণে গরমকালে বিভিন্ন শাক-সবজি পাওয়া যায় যাতে 'ভিটামিন এ' থাকে। এই সব শাক-সবজিগুলি খাওয়া উচিত ইমিউনিটি বুস্ট আপ করার জন্যে। বয়স্করা কাঁচা হলুদ ও কাঁচা রসুন খেতে পারেন। এই গুলি খাওয়ার ফলে ইমিউনিটি বাড়ার পাশাপাশি গাঁটের ব্যথার সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
গরমকালে বাইরে থেকে বাড়িতে এসে অনেকেই স্নান করেন। আর এই জন্যে তাদের ঠান্ডা লেগে যায়। তাই বাইরে থেকে এসে বাড়িতে আসার পর অবশ্যই লেবু কিংবা নুন চিনির জল খেতে পারেন। এর ফলে শরীরে ইমিউনিটি বাড়ে। বাড়িতে বসে থাকলেও অনেক সময় শরীরে এনার্জির অভাব দেখা দেয়। ঠিক সময় মতো ব্রেকফাস্ট,লাঞ্চ ও ডিনার না করার ফলেই এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই সময় মতো খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়াও খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও চলে যায়। তাই খাবার খাওয়া পর এক গ্লাস করে গরম জল খাওয়া উচিত। তাহলে আমাদের খাবার ঠিক ভাবে হজম হবে ও খিদেও পাবে। গরমকালে টক দই ও সবজি সেদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে গরমকালে চা জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।