জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৮-র অনুষ্ঠানে আমরা পেয়েছি ভবানীপুর মুক্ত দলের সদস্যাদের। সঞ্চালিকা মেঘা জেনে নিলেন, ক্লাবের সেক্রেটারি মালবিকা রায়চৌধুরী, সদস্যা শিপ্রা সাহা ও প্রচারের দায়িত্বে থাকা সহেলি রায়চৌধুরী কাছ থেকে তাদের পুজো নিয়ে অনেক তথ্য। ৭০ বছরের পুরোনো পুজো তাদের, যা থেকে বোঝাই যাচ্ছে, বাংলার ঐতিহ্যবাহী পুজোগুলোর মধ্যে একটি এটি। ১৯৬৪ সালের এই পুজোতে লোহার মণ্ডপ সজ্জা হয় যার ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল,যা তৎকালীন কলকাতায় একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ১৯৭২ সালে তারা প্রথম থিম পুজো শুরু করেন, আলো, ধ্বনি ও ছায়ার মাধ্যমে। এ বছরের তাদের থিম হলো 'সৃষ্টির উল্লাসে বাংলা'। শিল্পী ব্যাপার সেন এর হাত ধরে তারা এই পুজোর থিমের মাধ্যমে জানাচ্ছেন যে বাঁশ আমাদের জন্য ক্ষতিকারক নয়, বরণ, তা উপকারী। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দ্বারোদ্ঘাটন করছেন এই পুজোর। এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জমজমাট হয়ে ওঠে এই পুজো যেখানে মহিলা সদস্যদের অবদান বলে শেষ করা যায় না। মায়ের মৃন্ময়ী রূপ দেখা যাবে এই পুজো তে। এই পুজোটি হয় কালীঘাট রোড ও হরিশ মুখার্জী রোডের সংযোগস্থলে, যেখানে মেট্রো করে পৌঁছাতে হলে নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশন এ নেমে সহজে পৌঁছে যাওয়া যাবে।সব প্রজন্মের মিলনস্থল এই মুক্তদল পুজো ক্লাব, যেখানে সকলের সমাগম অনিবার্য।