২২ শে ডিসেম্বর ২০০৩ আদিবাসীদের উন্নতীর কথা ভেবে অল চিকি ভাষাকে রাস্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দেয় সুপ্রীম কোর্ট। তৈরী হয় নতুন তপশিলি জাতী। কিন্তু তবুও বাকি মানুষের কাছে আজও এই আদিবাসীদের আচার আচরণ, রিতী নিতি সম্পূর্ণরুপে পরিস্কার নয়। আর তাদের এই রিতী-রেওয়াজকে সাধারণ মানুষকে অবগত করতে ৭০ তম বর্ষে সেজে উঠেছে দক্ষিন কলকাতার ভবানীপুর স্বাধীন সংঘের পুজো মন্ডপ। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানালেন ক্লাব কর্তৃপক্ষের সদস্যরা। মাত্র ১১ বছরে কলকাতার বুকে এক জনপ্রীয় পুজো হোয়ে উঠেছে স্বাধীন সংঘ। কিন্তু তার কারন কি? জবাবে ক্লাবের কাল্চারাল সেক্রেটারী পার্থ দত্ত জানান যে পুজো জনপ্রীয়তা তখনই পায় যখন এমন কিছু তুলে ধরা হয় যা মানুষের কাছে আজও অজানা আর সেই দিকে খেয়াল রেখেই প্রতিবছর কিছু অজানা তথ্য দিয়ে সেজে ওঠে তাদের পুজো। ঠিক সেই জন্যই কি থিমে প্রবেশ করা? এর উত্তরে তিনি জানান যে সাবেকি পুজো শুধু পাড়ার মানুষ পছন্দ করে কিন্তু ক্লাবের পরিচিতি ঘটাতে চাইলে থিম করা প্রয়োজন। তা না করলে পুজো হয় ঠিকই কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো যায় না। পুজোতে তেমন কিছু এলাহি আয়োজন না থাকলেও বছরভর চলে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মহালয়ার পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধন দিয়ে শুরে হয় ভবানীপুর স্বাধীন সংঘের পুজো।