‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’, ‘অফসাইড এর ঈশ্বর’ –সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৪৭তম জন্মদিনে

জয়োল্লাসে লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে যেদিন এক বাঙালি তরুণ নিজের জার্সি খুলে বনবন করে ঘুরিয়েছিলেন, সেদিন তার সঙ্গে আবেগে গা ভাসিয়েছিল সারা দেশের মানুষ। ক্রিকেটের ময়দানে চোখে চোখ রেখে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো ঘাঘু ক্রিকেটদলকে জবাব দিতে পারতেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মেজাজে। 

শোনা যায় ছোটবেলা থেকে ফুটবলের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট ছিলেন তিনি। স্কুলে পড়তে পড়তেও খেলতেন ফুটবল। তারপর কলকাতার এক নামী ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি করে দেন তাঁর বাবা। ‘ক্রিকেটার’ দাদার ছত্রছায়ায় চলতে থাকে ক্রিকেট অনুশীলন। ১৯৮৯-এ অনুর্দ্ধ পনেরোয় বাংলার হয়ে ওড়িশার বিরুদ্ধে শতরান, ১৯৯১ সালে পূর্বাঞ্চলের হয়ে দলীপ(duleep) ট্রফিতে ১২১ রান তাঁকে জায়গা করে দেয় ইন্ডিয়া ক্রিকেট টিমে। জীবনের প্রথম ‘ওয়ান ডে ইন্টারন্যাশনাল’ ম্যাচ খেলেন ১৯৯২ সালে। মাত্র তিন রান করে বাদ পড়েন দল থেকে। তারপর হাল না ছেড়ে পর পর কয়েক বছর রঞ্জি ট্রফিতে চমৎকার সাফল্য তাঁকে ফিরিয়ে আনে জাতীয় ক্রিকেট দলে, ১৯৯৬ সালে দজাতীয় দলে ফিরেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেন জীবনের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। বাঁ হাতের জাদুতে সম্মোহিত করেছিলেন বিশ্ব ক্রিকেট-অনুরাগীদের। 

বাঙালির কাছে তিনি ক্রিকেট-পরিসংখ্যানের উর্দ্ধে। টেলিভিশন নয়, ‘বাইশ গজ’-এর দাদাগিরির জন্যই  বিশ্ব ক্রিকেট-ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে তাঁর নাম। শুধু ক্রিকেটার হিসেবে নয়, ক্রিকেট-দুনিয়া তাঁকে মনে রাখবে একজন ‘ফাইটার’ হিসেবেও। অনুরাগীদের ভালোবাসায় তাঁর নামের পাশে যুক্ত হয়েছে একাধিক বিশেষণ। তিনি সকলের প্রিয় ‘দাদা’, প্রিন্স অফ ক্যালকাটা, বেঙ্গল টাইগার, অফসাইড এর ঈশ্বর’ – সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ৮ জুলাই তাঁর ৪৭তম জন্মবার্ষিকীতে জিয়ো বাংলার পক্ষ শুভেচ্ছা সহ রইল এই ছোট্ট প্রয়াস।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...