শিশুদের জন্য মার্শাল আর্ট অনুশীলন কেন জরুরি? অ্যাজমার সমস্যা থাকলে কি মার্শাল আর্ট শেখা যায়? মার্শাল আর্ট অভ্যাসে কী কী উপকার পাওয়া যায়? বিস্তারিত জানালেন এসজিএএমবি-এর টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সামন্তক গঙ্গোপাধ্যায় (Shyamantak Ganguly,Technical director of SGAMB)
মার্শাল আর্ট আসলে কী?
সে প্রসঙ্গে সামন্তক গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ক্যারাটে, কুংফু, তায়কোয়ান্দো - এই সব আলাদা আলাদা ঘরানার উৎপত্তি মার্শাল আর্ট থেকেই। মার্শাল আর্টের আলাদা আলদা ভাগ এই ফর্মগুলি। ভারত থেকে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী মার্শাল আর্ট শিখতে বিশ্ব ভ্রমণ করেন। তিনি প্রথমে জাপান যান ওকিনো আইল্যান্ডে। সেখানে ক্যারাটে শেখেন। চিনে গেলে তার নাম হয় কুংফু। কোরিয়ায় গেলে এই শারীরিক কসরতের নাম হয় তাইকুণ্ডু। ক্যারাটে হল খালি হাতে আত্মরক্ষা।
ক্যারাটেতে প্রধান ফোকাস করা হয় চরিত্র গঠনে। আজকাল শিশুদের মধ্যেও আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। সাড়ে তিন বা চার বছর বয়স থেকে বাচ্চাদের ক্যারাটেতে দিলে তার অভ্যাস তৈরি হয়। এমন কিছু কিছু কসরত তাদের করানো হয় যাতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে তারা।
অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে বাচ্চাদের অনেক কিছু শেখানো হয় কিন্তু বাচ্চারা স্লো এন্ড স্টেডি পদ্ধতিতে শেখালে তারা অনেক ভালভাবে বিষয়টিকে গ্রহণ করতে পারে। মাথার মধ্যে গেঁথে যায়।
সাড়ে তিন বছর বয়সে শিশু যখন ক্যারাটেতে ভর্তি হয় তখন তার ফিটনেসে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। স্ট্রেন্থ, বডি ফ্লেক্সিবিলিটিতে জোর দেওয়া হয়। পেশি, অস্থিসন্ধি যাতে মজবুত হয় সেদিকে নজর দেওয়া হয়। সঙ্গে সুঅভ্যাস, নিয়মানুবর্তিতা ছোট থেকেই শিক্ষা দেওয়া হয়। শিশু বয়সে শিখতে পারে খুব বেশি। শিশুদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করে মার্শাল আর্ট। ক্যারাটে হল ডিফেন্স আর্ট স্কিল। মানে কীভাবে তুমি আত্মরক্ষা করবে তার শিক্ষা। আধুনিক সময়ে এই স্কিলকে 'স্পোর্টস' ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভাল মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষা পাওয়া যায় মার্শাল আর্টের মাধ্যমে। স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ, ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট হয় সরকারী উদ্যোগে। কেউ মার্শাল আর্ট বা ক্যারাটে ব্ল্যাকবেল্ট কমপ্লিট করলে ডিফেনসের পরীক্ষা দিলে বাড়তি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়। কনস্টেবল, সিআরপিএফ, আইপিএস সব জায়গায় এক্সট্রা ক্যারিকুলাম এক্টিভিটিজ দেখা হয় সেখানে ক্যারাটে থাকলে আলাদা গুরুত্ব।