‘একটি গাছ একটি প্রাণ’ বা ‘গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান’-এর মত বহু স্লোগানের সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাদের। সরকারি বা বেসরকারী সংস্থার তরফ থেকে প্রতিবছর বৃক্ষরোপনের মত বহু প্রকল্পের আয়োজন করা হলেও তা শুধুমাত্র একটি দিনের জন্য। রোপনের থেকে বহু গুন বেশী নিধন করা হয় গাছের। নিত্যদিন বিশ্বজুড়ে কেঁটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছে জঙ্গলের পর জঙ্গল। আর অন্যান্য গাছের পাশাপাশি নিধনের প্রকপ পড়েছে বাঁশঝাড়েও। শহরের বুক থেকে প্রায় হারিয়ে ষেতে বসেছে ছেটবেলায় মা ঠাকুমার মুখে শোনা শাঁকচুন্নীর বাসস্থানের এই বাঁশঝাড়। পুজো আসছে ঘর রঙ করবেন তার জন্য যে ভাড়াটা প্রয়োজন তাও কিন্তু বাঁশেরই তৈরী, বর্তমানে অনেক বিকল্প রাস্তা থাকলেও প্রথম দিকে কাগজ ও তৈরী হত বাঁশ থেকে। কাগজ আর বাড়ি রঙ করা ছাড়াও প্রতীমার মূল কাঠামো থেকে শুরু করে প্যান্ডেল তৈরী, এমনকি খুঁঠি পুজো করতে গেলেও প্রয়োজন এই বাঁশের। একবারও ভেবে দেখেছেন কি যে ভবিষ্যতে যদি বাঁশগাছ কোনো প্রকার লুপ্ত হয়ে যায় তাহলে উপরোক্ত প্রত্যকটি কাজ হবে কি করে? তাই বাঁশঝাড় রক্ষা করার বার্তা নিয়েই ৭০তম বর্ষে সেজে উঠেছে উত্তর কলকাতার বেলেঘাটা সরকার বাজার বিবেকানন্দ সংঘের এবারের থিম "রঙ বেরঙের বেণুর সাজে, দুর্গা এল মোদের মাঝে।" সঞ্চালিকা মনীষার সাথে গল্পে আড্ডায়, এমনটাই জানালেন জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান অনুষ্ঠানে আশা ক্লাবের দুই সম্পাদক সমুখ দাস ও পার্থ সরকার। পুজোর একটি দিন দুস্থ শিশুদের জন্য থাকছে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান, নবমীর দিন পাড়ার লোকের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে মহাভোজের আয়োজন। চতূর্থীর দিন উদ্বোধন করে এবারের পুজোর শুভসূচনা করবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।