“শেষ বেলা তুমে ভেসে আসা শঙ্খের সুর”।জীবনের অনেক গুলো সন্ধ্যার সুর কেটে যায় মা-বাবার ছত্রছায়ায়।কিন্তু আকস্মিক ভাবে সেই অধ্যায় মুছে ফেলতে সময় লাগে না এই প্রজন্মের।তখন সেই আশ্রয় দাতারা হয়ে পরে আশ্রয়হীন।ঠিকানা হয় বিদ্ধাশ্রম।এমন ছবিই দিকে দিকে। এই অবক্ষয় রুখতে উদ্যোগী বেহালার উত্তর পাড়া পুজো কমিটি। এ বছরে তাদের থিম বেলাশেষে।জিও বাংলার স্টুডিওয়ে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সৌমেন আদক, তরুণ বেরা পুজোর থিমশিল্পী, এবং থিম সং মেকার।এদিন সঞ্চালিকা মনীষার সঙ্গে ভাগ করেনেন তাদের এবারের ভাবনার কথা।
গানের ভাষায় বলতে হয়------
“আমার ব্যবহারের সেই আলমারি আর আয়না, সে সব নাকি বেশ পুরোন ফ্লেটে রাখা যায় না”।শেষ জীবনে এসে নচিকেতার এই গানটাই হয়তো গুন গুন করেন অনেক বাবা-মা।এই ছবিটাই বদলাতে চান বেহালার উত্তরপাড়া পুজো কমিটি।আর তাই ৫৮তম দুর্গোৎসবে ব্যবহারের অযোগ্য কাপড় দিয়েই সেজে উঠছে তাদের মন্ডপ।আজ আনন্দের আলো আর ভেদ করেনা তাদের বিদ্ধাশ্রমের দেওয়াল তাই এবছর চতুর্থীর দিন তাদের হাতেই উদ্ভোধন হবে এই পুজোর।হয়ত এই পদক্ষেপেই তাদের একবার অন্তত মনে হবে আজও আমারা নিষ্প্রয়োজন না।আর এই পুজোর সাক্ষী হতে গেলে আপনাকেও পৌঁছে যেতে হবে বেহালা উত্তর হালদার পাড়া পুজো কমিটিতে।রাসবিহারি মেট্রো স্টেশনে নেমে বেহালার অটো করেই খুব সহজে পৌঁছে যেতে পারেন তাদের পূজামন্ডপে।