আজ থেকে ৬৪ বছর আগে মাত্র ৪ জনকে নিয়ে শুরু হয় পুজো। ১২৫ টাকার প্রতিমা ও সবকিছু মিলিয়ে, তখন পুজোর বাজেট ছিল মাত্র ২৫০০ টাকা। যা এখন ধারণার বাইরে। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৮ অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানান দক্ষিন কলকাতার বেহালা ১১ পল্লী ক্লাবের প্রবীন সদস্য শিতেনশু দাস। সঞ্চালিকা অরণীর সাথে আলোচনায় আরো জানলাম তাঁদের পুজোর বিষয়। এতবছর ধরে সাবেকিয়ানায় পুজো করার পর এবছর প্রথমবার থিমের পুজোয় পদার্পন। কিন্তু হঠাৎ সাবেকি ছেড়ে থিম কেন? তার উত্তরে ক্লাবের কনভেনর সুব্রত ভট্টাচার্য জানান যে সময়ের অগ্রগতীর সাথে সাথে মানুষকে অনেক নতুন পদক্ষেপ নিতে হয়। সে পদক্ষেপ কারোর পছন্দের হয় আবার কারোর অপছন্দের। কিন্তু এই পছন্দ-অপছন্দের টালবাহানায় অনেকক্ষেত্রে পুজো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেটা আখেরে কারোর জন্য লাভজনক হয় না। তাই নতুন প্রজন্মের হাত ধরে পাড়ার পুজোর থিমে প্রবেশটাকে আশীর্বাদ করেছেন পাড়ার প্রবীন বাসিন্দারা। কিন্তু হঠাৎ করে থিমে প্রবেশ করলেও তা খুব একটা সমস্যায় ফেলে নি শিল্পী কৈলাশ দাসকে। তার মতে নতুন প্রজন্মের এই প্রয়াস যথেষ্ঠ উল্লেখযোগ্য। তাই থিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরী হচ্ছে বেহালা এগারো পল্লির প্রতিমা।