জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৮-র অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমাদের স্টুডিওতে ছিলেন বেহালা বুড়ো শিবতলার পূজা কমিটির ওয়ার্কিং সেক্রেটারি হর্ষ নারায়ণ দাস, কোষাধ্যক্ষ সন্দীপ গায়েন, এবং কালচারাল সেক্রেটারি অর্ণব রায়।সঞ্চালিকা অরণীর সাথে আমরাও জানলাম তাঁদের পুজোর বিষয়। “মনের মানুষ” খ্যাত বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সংঘ এই বছর পা দিল ১২তম বছরে।থিম পুজোর দৌড়ে প্রতি বছর এই পুজো বেশখানিকটা এগিয়ে থাকে অন্যান্য ক্লাবগুলির থেকে।এই ক্লাবের এই বারের থিম “বঙ্গা সুর বধ”। শান্তি সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে এবছর এই ক্লাব| মন্ডপে থিম হলেও প্রতিমায় থাকছে সবেকিয়ানার ছোঁয়া।প্রবীন নাগরিক ও স্পেশাল চাইল্ডদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। প্রসঙ্গত, এক বছরের পুজো শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যায় পরের বছরের ভাবনা চিন্তা।পুজোর ৫ থেকে ৬ মাস আগে থেকেই কাজ শুরু করে দেন পুজো কমিটির সদস্যরা।এই বছর বৃষ্টি শুরুতে বাধ সাধলেও মেঘ কাটতেই শুরু হয়ে গেছে জোর কদমে প্রস্তুতি।
বিশাল জায়গা জুড়ে তৈরী হওয়ার সুবাদে মন্ডপে আছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০-টি গাড়ি রাখার জায়গা, বিশেষ হস্তচালিত পাম্প, ৩০০-৩৫০জন ভলেন্টিয়ার ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা।আগুন লাগলে যাতে মন্ডপে উপস্থিত সকল দর্শনার্থীদের যাতে সতর্ক করা যায় তার জন্য থাকছে রেডলাইট হুটার।
থাকছে মিলিটারী কাম্পের সৈনিক দের ২৪ঘন্টা টহলদারী।স্পেশাল চাইল্ডদের জন্য ঠাকুর দেখার পাশা পাশি থাকে বিনা মুল্যে জামা কাপড় ও মিষ্টি বিতরণ।এবছর তৃতীয়ার দিন বিভিন্ন ধর্মগুরুর উপস্থিতিতে পুজোর উদ্বোধন করবে বেহালা বুড়ো শিবতলা ক্লাব কর্তৃপক্ষ।