ঘরোয়া উপায়ে লম্বা স্ট্রেট চুল কী ভাবে পাবেন? স্ট্রেটনার ব্যবহারের কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে? চুল লম্বা করার সহজ টোটকা কী? টিপস দিলেন সিসপিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় (SISPIYA BANERJEE, Singer)
হাইলাইটস-
১। ঘরোয়া উপায়ে লম্বা স্ট্রেট চুল কী ভাবে পাবেন?
২। স্ট্রেটনার ব্যবহারের কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে?
৩। চুলের ডগা ফাটার সমস্যার মোকাবিলা কীভাবে করা যায়?
প্রতিদিনের ব্যস্ত কাজে কীভাবে চুল ভালো রাখা যায়?
যাদের চুল স্ট্রেটনিং ও স্মুথনিং করা থাকে, তাদের প্রতিমাসে অন্তত একবার হেয়ার স্পা করা বাধ্যতামূলক। কারণ, প্রতিদিনের ব্যস্ত কাজে চুলের স্টাইলিং করতে হয়, যার ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যায়, তাই তখন চুলের প্রয়োজন বিশেষভাবে যত্ন করা।
এছাড়াও ঘরোয়া টোটকার সাহায্যে চুলের যত্ন নেওয়া যায়।
ঘরোয়া টোটকা ১ঃ
পেঁয়াজের রস চুলের পক্ষে খুব ভালো। তাই কাঁচা পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে একঘন্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ভালো করে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। পেঁয়াজের রস চুল খুব নরম ও উজ্জ্বল করে।
ঘরোয়া টোটকা ২ঃ
অ্যালোভেরা চুল হেলদি করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে কিছু চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে, তার মধ্যে ক্যাস্টর অয়েল (Optional) মিশিয়ে চুলে হেয়ার মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই মাস্ক সারারাত বা চুলে শ্যাম্পু করার ১ ঘন্টা আগে লাগিয়ে রাখলে, তা চুল অনেক নরম ও হেলদি করে।
ঘরোয়া টোটকা ৩ঃ
রিঠা, আমলা, শিকাকাই – এই তিনটি জিনিসই চুলের জন্য উপকারী। এগুলির পেস্ট চুলের পক্ষে খুব ভালো। প্রথমে এই উপাদানগুলোর পাউডার এক চামচ করে নিয়ে একসাথে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপর পরিমাণ মতন নারকেল তেল চুলের স্ক্যাল্পে ভালো করে মেখে এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে। আর তারপর সেই পেস্টটি স্ক্যাল্পে লাগিয়ে আধঘন্টা রেখে দিতে হবে। এটি চুলের গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে।
চুল স্ট্রেট করার পরে যে হেয়ার গ্রোথ হয়, তা কীভাবে মেইনটেইন করা যায়?
এক্ষেত্রে চুলে একটু লাইট হিটের স্ট্রেটনার কিট ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ, অত্যাধিক হিট চুল খুব ড্যামেজ করে।
কিন্তু যাদের কাছে স্ট্রেইটনার নেই, তাদের ক্ষেত্রে চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর সেই চুলে যদি হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে ব্লো ড্রাই করা যায়, তবে তা বেবি হেয়ার ও নতুন গজানো চুল অনেকটা সোজা করে দেয়।
চুলের ডগা ফাটার সমস্যার মোকাবিলা কীভাবে করা যায়?
চুলের ডগা ফাটা (Split Ends) কমানোর জন্য দুই থেকে তিন মাস অন্তর চুল হালকা ট্রিম করা খুব জরুরি। চুল ট্রিম করলে তা চুলের ডগা ফাটা বাড়তে দেয়না।
কিন্তু চুল বা স্কিন ভালো রাখার জন্য যত্নের পাশাপাশি ভালো ডায়েট মেইনটেইন করা খুব জরুরী। ফাস্টফুড খাওয়া একদম উচিত নয়। শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য হেলদি খাবার খেতে হবে ও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে ফ্রুট স্যালাড, সবজি, দই ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।