সমাজ যখন ব্যাস্ত পুরুষজাতি ও স্ত্রীজাতির সমানতা নিয়ে তখন ঘরের এক কোনো ডুকরে কাঁদছে তৃতীয় শ্রেণীর মানুষরা। তারা আর করবেই বা কি, সমাজ তো তাঁদেরকে একঘরে করে রেখেছে। বাকি সাধারণ মানুষের মত বেঁচে থাকার অধিকার অনেক আগেই সমাজ তাঁদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। তবে কথায় আছে না “যার কেউ নেই, তার ঈশ্বর আছে”। ৬ই সেপ্টেম্বর ২০১৮, সুপ্রিম কোর্ট ঈশ্বরের ন্যায় যখন সমকামিতা বৈধ করল তখন কোথাও যেন নতুন কোরে বাঁচার স্বপ্ন দেখা শুরু করল সমাজের এই শ্রেণীর মানুষরা। আর এই তৃতীয় শ্রেণীর মানুষদের সমাজে মাথা তুলের বাঁচার বার্তা নিয়েই সেজে উঠছে বড়বাগান কাল্চারাল অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবের পূজা মন্ডপ। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান উপলক্ষে আমাদের স্টুডিও-এ হাজির ছিলেন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ রাজু অধিকারী, সঞ্জয় পাল ও থিমের রুপোকার উপাসনা চ্যাটার্জী। সঞ্চালিকা অরণীর সাথে তাঁদের পুজোর বিষয় জানলাম আমরাও। ৩৭তম বর্ষে তাদের এবারের থিম “আত্মনির্বান”। থিম রুপোকার উপাসনা চ্যাটার্জীর কথায় রুপান্তরকামী মানুষদেরও আর বাকি সাধারণ মানুষের মত বাঁচার অধিকার আছে, সমাজে তাদেরকেও মেনে নিতে হবে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই দ্বিতীয়ার দিন রুপান্তরকামীদের হাতেই মায়ের তৃতীয় নয়ন আঁকা দিয়ে উদ্বোধন হবে এই পুজোর।