অ্যাজমা কেন হয়?

অ্যাজমা বা হাঁপানি হচ্ছে একটি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা। কোনও ব্যক্তির অ্যাজমা থাকলে তার শ্বাসনালীর ভিতরের দিকটি ফুলে যার ফলে‌ শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য একবার যে ব্যক্তির এই রোগে আক্রান্ত হন তার শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়ে। অ্যাজমা হচ্ছে একটি দীর্ঘমেয়াদী অসুখ। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও এই রোগ হয়ে থাকলে। যদি বাবা, মায়ের এই রোগ থাকে তাহলে ছেলে অথবা মেয়ে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এই ধরনের সমস্যাকে অ্যাটপি বলা হয়। এছাড়াও কোনো এলার্জি ঘটিত কারণে অথবা ঠান্ডা লাগার ফলেও এই রোগ দেখা দিতে পারে। কোনো ব্যক্তির অ্যাজমার সমস্যা থাকলে তার শ্বাসবায়ু টানার ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু এই অ্যাজমা বা হাঁপানি কেন হয়? আর  অ্যাজমা থেকে নিস্তার পাওয়ার উপায় কী?

এই বিষয়ে সম্পর্কে জানালেন ডাঃ আরাত্রিকা দাস

ডাঃ আরাত্রিকা দাসের মতে, সাধারণত হাঁপানি বা অ্যাজমার সমস্যা সব বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায়। তবে এখন কম বয়সীরা বেশি এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত কারণে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া খুব ঠান্ডা লাগার ফলেও অ্যাজমা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের এলার্জি জনিত কারণেও এই রোগ হতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চাদের মধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি। তাই শীতকালে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগাতে দেওয়া যাবেনা। বিশেষ করে অ্যাজমা রোগীদের শীতকালীন সময় বেশি ঠাণ্ডা লাগালে তা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। তাই এখন দেখার যায় সেপ্টেম্বরের পরেই বহু অ্যাজমা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাই অ্যাজমা থাকলে অবশ্যই তাকে ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে।

তবে সাধারণ কাঁশি আর অ্যাজমার কাশির মধ্যে তফাত রয়েছে। আর অ্যাজমা হলে যে ধরনের তাকে বলা হয় প্যারসিজমাল কাফ। এই কাশি সাধারণত রাত্রীবেলা ঘুমের সময় হয়ে। তাছাড়াও এই কাঁশি কিছুক্ষণ পর পর আসে যার থেকে বোঝা যায় অ্যাজমা হয়েছে কি না। যে অ্যাজমা রোগীদের ইনফেকশন হলে এই কাঁশির সাথেই কফ বেড়িয়ে আসে।

তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে মহিলাদের থেকে পুরুষরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন এই রোগে। এই প্রসঙ্গে ডা:আরাত্রিকা দাস বলেছেন, যেহেতু মহিলাদের থেকে পুরুষদের মধ্যে ধুমপানের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। তাই পুরুষদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি অ্যাজমা দেখতে পাওয়া যায়। তবে এই রোগের একটাই ওষুধ তা হচ্ছে ইনহেলার। আর তাছাড়াও অন্যান্য ওষুধের চেয়ে ইনহেলার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তা ইনহেলার নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। এছাড়াও বাচ্চাদের এই রোগ এড়িয়ে চলতে গেলে একটি ভ্যাকসিন নিতে হবে যার নাম হচ্ছে নিউ মোককেল ভ্যাকসিন। যে সব বাচ্চাদের এই রোগ আছে তাদের অনেক ছোট বয়সে এই ভ্যাকসিন নিতে হবে। এই ভ্যাকসিন নিলে এই রোগের বিস্তার সম্ভব না। এছাড়াও স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়ে অ্যাজমার ওষুধ হিসেবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...