ফেয়ারনেস ক্রিম কেন ক্ষতিকারক?

ফর্সা হওয়ার জন্যে মানুষ নানা ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে। কিন্তু ফর্সা হতে গিয়ে নিজের কতখানি ক্ষতি করে ফেলে নিজেই বোঝে না। বিশেষত এই ক্রিমগুলিতে থাকা স্টেরয়েডের ফলেই চর্মরোগের শিকার হতে হয়। বিশেষত কম বয়সী মেয়েদের মধ্যেই এই ক্রিম ব্যবহারের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এই স্টেরয়েড জাতীয় ক্রিমের ব্যবহারের ফলে মুখে ব্রোনো,ত্বকে দাগ, চুলকানি ইত্যাদি ছাড়াও অনেক ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে। আসলে ত্বকে অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করার ফলে চামড়া আরও পাতলা হয়ে যায়। যার ফলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

এই ফেয়ারনেস ক্রিমের ব্যবহারে কী কী ক্ষতি হতে পারে সেই সম্পর্কে জানালেন ডাঃ কৌশিক লাহিড়ি

ড: কৌশিক লাহিড়ির মতে, ফেয়ারনেস ক্রিমে থাকে স্টেরয়েড। আর এই স্টেরয়েড কিন্তু খারাপ পদার্থ নয়। তবে অতিরিক্ত স্টেরয়েডের ব্যবহারে ক্ষতি হয়ে। আমাদের দেশের মানুষ শুধু মাত্র ফর্সা হওয়ার জন্যেই এই ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। বেশিরভাগ মানুষই জানেন না এই স্টেরয়েড জাতীয় ক্রিম প্রত্যেক দিন ব্যবহার করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে? আমাদের দেশে সেই ধরনের কড়া কোনো নিয়ম নেই যার মাধ্যমে প্রয়োজন না থাকলে এই সব স্টেরয়েড জাতীয় ক্রিম ও ওষুধ কেনা আটকানো যায়। সেই কারণেই দরকার ছাড়াই মানুষ নির্দিধায় এই ধরনের ক্রিম ব্যবহার করতে পারছেন।

আর একবার এই ধরনের ক্রিম ব্যবহার করা শুরু হলে তারপর যদি ঐ ব্যক্তি ক্রিমটি ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন তাহলে দেখা যাবে তার মুখে ব্রোনো অথবা লাল হয়ে গিয়ে চুলকানি শুরু হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মুখে দাদ জাতীয় সমস্যা হলে অনেক ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এর থেকে ত্বকের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।

স্টেরয়েড জাতীয় ক্রিম বেশি ব্যবহার করলে অনেক সময়  ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। যার ফলে ত্বকে নানান ধরনের ইনফেকশন হতে পারে। বেশি স্টেরয়েড জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকে টপিকাল স্টেরয়েড ডিপেনডেট ফেস। এই রোগ হওয়া মানে তার ত্বকে স্টেরয়েড ব্যবহারটা একটি অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। তাই সমস্যা এড়াতে হলে এই ধরনের ক্রিম ও ওষুধ ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...