অ্যাঙ্কাইলোসিং স্পন্ডিলাইটিস কী? এই রোগ কেন হয়? অ্যাঙ্কাইলোসিং স্পন্ডিলাইটিসের লক্ষণ কী? কোন বয়সের মানুষরা বেশি আক্রান্ত হয়? সাধারণ স্পনডিলাইটিস আর অ্যাঙ্কিলোসিং স্পনডিলাইটিস-এর মধ্যে তফাৎ কী? কাইরোপ্র্যাক্টিক পদ্ধতিতে কীভাবে এই রোগের চিকিৎসা হয় ? কীভাবে সচেতন হবেন পরামর্শ দিলেন কাইরোপ্র্যাক্টর ডাঃ মানস কুমার (Dr Manas Kumar, Chiropractor)
ডাঃ মানস কুমার জানিয়েছেন, কাইরোপ্রাকটিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে অ্যাঙ্কাইলোসিং স্পন্ডিলাইটিসের নিরাময় নয়, এই ধরনের রোগে যে উপসর্গ তৈরি হয় সেগুলিকে কমিয়ে দেওয়া হয় এবং রোগ প্রতিরোধের রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়। এই রোগে মেরুদণ্ডের যে সন্ধি থাকে সেগুলি একটির সঙ্গে আর একটি জুড়ে যায় তখন মেরুদন্ডে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে সেই সন্ধিস্থলগুলিকে আবার স্বাভাবিক করা হয়। তার সঙ্গে ব্যথা, অনমনীয় ভাব সেগুলিরও সুরাহা করা হয়। রোগীকে কিছু ব্যায়াম দেওয়া হয় যার নিয়মিত চর্চায় সুস্থ হয়ে ওঠে রোগী।
অনেকেই অ্যাঙ্কাইলোসিং স্পন্ডিলাইটিসের উপসর্গ দেখে বুঝতে পারেন না, ফলে চিকিৎসকের কাছে যেতে অনেক সময়ই বেশ দেরী হয়ে যায়। অজানা কোনও কারণে হঠাৎ করে পিঠে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, হিপে ব্যথা শুরু হয়। তারপর আস্তে আস্তে শরীর শক্ত হতে শুরু করে। একাধিক সময় সিভিয়ার পেইন দেখা যায়।
ওষুধ খেয়ে সাময়িক ব্যথা কমলেও তা ঘুরে ফিরে আসতে থাকে। বাড়াবাড়ি হলেও সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এইচএলএবি টোয়েন্টি সেভেন জেনেটিক্যাল টেস্ট নামে একটি টেস্টে যে সব রোগীর পজেটিভ পাওয়া যায় তাদের অ্যাঙ্কাইলোসিং স্পন্ডিলাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এটি অটো ইমিউন রোগ, মনে করা হয় বহুলাংশে দায়ী জিন। কেউ যদি ছোট থেকেই শরীর চর্চা, ব্যায়াম চৰ্চা, সাঁতার, দৌড়, সাইকেলের অভ্যাসে থাকেন তাহলে হয়ত কোনও দিন অ্যাঙ্কাইলোসিং স্পন্ডিলাইটিস আছে বলে মনেই করবে না। যারা কায়িক পরিশ্রম করে তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
কাইরোপ্র্যাক্টিক পদ্ধতিতে সন্ধি, হাড়, পেশী এই সংক্রান্ত যে কোনও ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, লিগামেন্ট সমস্যা- এই ধরনের যে কোনও ব্যাপারে চিকিৎসা হয়।