কোন বয়সে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি বেশি? এই রোগ কী ভাবে চিনবেন? রক্তাল্পতা শরীরে কী ভাবে প্রভাব ফেলে? কোন কোন খাবার অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে? পরামর্শ দিলেন ডায়েটিশিয়ান পদ্মজা নন্দী (Padmaja Nandi, Dietitian)
হাইলাইটসঃ
১। অ্যানিমিয়ার রোগ কী ভাবে চিনবেন?
২। বাচ্চারা কেন অ্যানিমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়?
৩। কোন কোন খাবার অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে?
অ্যানিমিয়া কেন হয়?
অ্যানিমিয়ার অনেক ধরন রয়েছে। এই রোগের সবচেয়ে সাধারণ কারণটি হল,
১। শরীরে আয়রনের মাত্রা সঠিক না থাকা
২। ভিটামিন B12, ফলিক অ্যাসিড পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকা
৩। সার্জারির ফলে অ্যানিমিয়া হতে পারে
৪। স্যানিটাইজেশনের অভাবে অ্যানিমিয়া হতে পারে
বাচ্চারা কেন অ্যানিমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়?
বড়দের সাথে বাচ্চারাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন বাচ্চারা তাদের মায়ের শরীরের পুষ্টি দ্বারা নিজেদের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। অতএব গর্ভবতী থাকাকালীন যদি কোন মহিলার অ্যানিমিয়া থাকে, বাচ্চাটি প্রথম থেকেই নানা রকম পুষ্টি থেকে বঞ্চিত থাকে। এবং জন্মের পর প্রথম কিছু মাস বাচ্চাটি মাতৃ দুগ্ধ পালন করে। সে সময় যদি মায়ের শরীরে আয়রন কম থাকে তবে বাচ্চাটিও সঠিক পুষ্টি পাবে না ফলে তার অ্যানিমিয়া রোগ দেখা দেবে।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করার জন্য কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত?
প্রোটিন, আয়রন এবং ভিটামিন C – এই তিনটি উপাদান আমাদের শরীরে উপযুক্ত পরিমাণে থাকলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অ্যানিমিয়া রোগ প্রতিরোধের জন্যও এই বিষয় প্রযোজ্য। এছাড়াও যারা নিরামিষাসী, তাদের দেহে ফলিক অ্যাসিড ও B12 এর মত উপাদান কম থাকে। কিন্তু যারা মাংসাশী তাদের দেহে এই উপাদান যথাযথ মাত্রা থাকে। তাই এই রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
এছাড়াও ভিটামিন C শরীরের পক্ষে খুব ভালো। লেবু, টম্যেটো ইত্যাদি ফল ও সবজিতে এই ভিটামিন থাকে।
তবে প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা একটা ভুল করে থাকি। শুধুমাত্র আয়রন যুক্ত খাবার খেলেই অ্যানিমিয়া রোগের প্রতিরোধ সম্ভব নয়। যে কোন খাবার, যা শরীরের পক্ষে উপকারী, উপযুক্ত পরিমাণ অনুযায়ী খেতে হবে। তবেই সেটি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সঠিক ভূমিকা পালন করবে।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করার জন্য ডায়েট প্ল্যান:
প্রত্যেক মানুষের শরীর আলাদা। তাই সেই অনুযায়ী তাদের ডায়েট প্ল্যানও আলাদা হয়। তাই কোন একটি নির্দিষ্ট চার্টের দ্বারা ডায়েট প্ল্যান নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। কিন্তু কিছু পরামর্শ রয়েছে, যা মেনে চললে রোগ প্রতিরোধে সঠিক ভূমিকা নেবে -
১। আমন্ড বাদাম ও খেজুর ভেজানো খাওয়া।
২। অঙ্কুর জাতীয় ছোলা
৩। শাক-সবজি
৪। মেথি রুটি
৫। দুগ্ধ জাতীয় খাবার
৬। মাছ, মাংস, ডিম
৭। বিভিন্ন ধরনের ডাল
৮। রাজমা, সোয়াবিন
৯। বিভিন্ন ধরনের ফল
অ্যানিমিয়া আক্রান্ত মানুষদের জন্য টিপস:
১। স্যানিটাইজেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অ্যানিমিয়া আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে
২। নিয়মিত রুটিন চেকআপ দরকার
৩৷ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে খাবার খাওয়া
৪। শরীরচর্চা করা
৫। এছাড়াও, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে
দর্শকদের প্রশ্ন:
শরীরে কী পরিমাণ আয়রন প্রয়োজনীয়?
প্রত্যেকটি মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদা ভিন্ন হয়। তবে স্বাভাবিকভাবে বলা যায়, পুরুষদের ক্ষেত্রে ১৪ থেকে ১৬ mg (Per kilo body weight) আয়রন আমাদের শরীরে প্রয়োজন। মহিলাদের জন্য ১২ থেকে ১৬ mg আইরন শরীরে প্রয়োজন।
ছোটদের অ্যানিমিয়ার লক্ষণ গুলি কি কি?
১। ক্লান্তভাব
২। হাত পা সাদা হয়ে যায়
৩। হাতের আঙুল গোল আকার ধারণ করে