অ্যালোপেশিয়া কী?

মাথার চুল পড়ার সমস্যা খুবই কমন। মহিলা ও পুরুষ উভয়েই এই সমস্যায় ভোগেন। চুল পড়ার এই সমস্যাকে বলা হয় অ্যালোপেশিয়া। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে সঠিক সময় চিকিৎসা করলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। সুতরাং অ্যালোপেশিয়া বা চুল পড়ার সমস্যার চিকিৎসা কী?

এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ কৌশিক লাহিড়ী

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ কৌশিক লাহিড়ী বলেছেন, অ্যালোপেশিয়া একটি ল্যাটিন শব্দ। বাংলায় যার অর্থ হল চুল পড়ে যাওয়া। বর্তমান সময় সারা বিশ্ব জুড়ে যে অ্যালোপেশিয়া রোগ নিয়ে কথা বলা হচ্ছে একটি বিশেষ ধরনের অ্যালোপেশিয়া। এই ধরনের রোগের ক্ষেত্রে দেখা গেছে শুধুমাত্র একটি এরিয়া থেকেই চুল উঠে যায়। বাংলায় যেটাকে আমরা বলি টাক পোকা। অ্যালোপেশিয়া অনেক কারণে দেখা দিতে পারে। যেমন- বয়সজনিত বা বংশগত কারণের ফলে চুল উঠে গেলে তাকে অ্যান্ড্রজেনিক অ্যালোপেশিয়া বলে, কোনও শারীরিক সমস্যার ফলে ডিফিউজ অ্যালোপেশিয়া। কিন্তু এরিয়া ভিত্তিক অ্যালোপেশিয়া বা অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়েটা এই দুটির থেকে আলাদা। সাধারণত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ফলেই এই সমস্যা দেখা দেয়।

তাই আগে থেকেই সমস্যা বুঝতে পারলে সমাধান করা সহজ হয় উঠবে। প্রত্যেক দিন একশোটি চুল পড়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু যখন নতুন করে চুল জন্মানো বন্ধ হয় যায় তখন বুঝতে হবে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে নারী ও পুরুষদের ক্ষেত্রে চুল পড়ার কারণ গুলি সম্পূর্ণ আলাদা। মহিলাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার ফলে চুল পড়ে যায়। কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে বংশগত কারণেই চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।

আগে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের মাধ্যমে অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়েটার চিকিৎসা করা হত। কিন্তু এখন আরও সহজে এই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে অনেক সময় যাদের বয়স কম তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের চিকিৎসা একটু কঠিন যায়। পৃথিবীতে সবার চুল এক রকমের হয় না। এছাড়াও বর্তমান সময় চুল স্ট্রেট করার ফ্যাশন খুব জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু এই চুল স্ট্রেট করার ফলেও চুলের ক্ষতি হয়। তাই এই সব না করাই ভাল।

অন্যদিকে যদি বংশগত কারণে চুল উঠে তাহলে তার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় নেই। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে কিছুটা সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। শারীরিক সমস্যার ফলে চুল উঠে গেলে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কোভিডের ফলেও অনেকের চুল পড়ে গিয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে শুধু কোভিড নয় এর জন্য মানসিক চাপও সমান ভাবে দায়ী। এই সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ার পর আবার চুল পড়ে যেতে পারে। তাই চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে না।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...