দেবী পক্ষের সময় আসন্ন। প্রত্যেকটি পুজো কমিটির চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আদি লেক পল্লি ক্লাবের সদস্যবৃন্দ। সঞ্চালিকা মনীষার সাথে গল্পের ছলে আড্ডায় জেনে নিলাম তাঁদের পুজোর বিষয়। উপস্থিত ছিলেন গৌতম মুখার্জী, রমেন চৌধুরী এবং আলোক ব্যানার্জী।এবছর ১০৪ তম বর্ষে পদার্পন করলো এই পুজো। ক্লাব যখন তৈরী হয়নি সেই সময় থেকে পুজো করছেন এই পুজো কমিটি। হাজরা ক্রসিং থেকে শুরু করে বিশাল অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে নানা জায়গায় পুজো করেছে এই কমিটি। তখন পুজোর সময় বিতরণ করা হতো জামাকাপড় ও ভোগ। ধীরে ধীরে দিন বদলায়। তৈরী হয় আজকের আদি লেকপল্লি ক্লাব। ২০০৪ সাল থেকে শুরু হয় থিম পুজো। এই বছর এই ক্লাবের থিম হলো 'জীবনানন্দ’অর্থাৎ জীবনের আনন্দ। প্রাকৃতিক জিনিস যেমন বাঁশ, কঞ্চির মতো জিনিস দিয়ে তৈরী হচ্ছে মণ্ডপ। এই বছরের মণ্ডপসজ্জা থেকে শুরু করে প্রতিমা, সেজে উঠেছে শিল্পী সুবোধ রায়ের হাত ধরে. প্রতিমায় সাবেকিনার ছোঁয়া থাকলেও আধুনিকতা ও থাকছে সাথে । প্রতিমা তৈরী হচ্ছে ফাইবার গ্লাস দিয়ে। থিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরী হচ্ছে একচালা প্রতিমা। জীবনের আনন্দ উপভোগ করার জন্য সবাইকে পৌঁছে যেতে হবে আদি লেকপল্লি ক্লাবে। রাজা বসন্ত রোড এবং সর্দারশঙ্কররোডের ঠিক মাঝখানে লেক প্লেস রোডের ওপর তৈরী হচ্ছে পূজা মন্ডপ।
১৯৯১এশিয়ান পেন্টস এর তরফ থেকেপ্রতিমা সজ্জার জন্যপ্রথম পুরস্কার পেয়েছিল এই ক্লাব। সেই শুরু, তারপর থেকে কোনো বছরই ফাঁকা থাকেনা পুরস্কারের ঝুলি।
পুজোর সময় অঞ্চলের সমস্ত মানুষকেএকত্রিত করার উদ্দেশ্যে অষ্টমীর দিন বসিয়ে ভোগ খাওয়ানোর আয়োজন করেন এই পুজো কমিটি। এই ক্লাবের মহিলা বাহিনী যথেষ্ট সচল, চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে পুজো এবং প্রতিমা নিরঞ্জন সবেতেই সমানভাবে অংশগ্রগণ করেন মহিলারা। পুজো কমিটির কথা অনুযায়ী প্রতিবছর প্রায় ১০ লক্ষ্য লোকের পদধূলি পড়ে এই মণ্ডপে। তাই দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মণ্ডপে রাখা হচ্ছে ফায়ার প্রটেকশন। সিনিয়র সিটিজেন ও স্পেশাল চাইল্ড দের জন্য থাকছে ট্রলি ও ভি.আই.পি গেটের সুবিধা।