পঁচিশে বৈশাখে প্রেম? এসেছে কি গায়িকা অঙ্কিতা ভট্টাচার্যর জীবনে? ‘টলিকথা’র আড্ডায় ছোটোবেলার ‘রবীন্দ্রজয়ন্তী’র নস্ট্যালজিয়ার গল্পে অতিথি গায়িকা অঙ্কিতা ভট্টাচার্য
প্রঃ তোমার কাছে রবীন্দ্রনাথ মানে কী
অঙ্কিতা ভট্টাচার্যঃ আমাদের সবার কাছে রবীন্দ্র ‘আইডল’। আমরা যারা শিল্পী, গান করি, রবীন্দ্রসঙ্গীতটাই আগে শুনি। যখন প্রথম গান শেখা শুরু করি আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।
প্রঃ ছোটোবেলার রবীন্দ্র জয়ন্তী কেমন কাটত?
অঙ্কিতা ভট্টাচার্যঃ আমার কাছে রবীন্দ্রজয়ন্তী মানে সবার প্রথমে মাথায় আসে স্কুল আর কলেজের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে গান গাইতে খুব ভাল লাগত আমার। আমাদের স্কুলে বড় করে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান হত। তাতে ছোটবেলা থেকেই গান গাইতাম। পঁচিশে বৈশাখ মানে আমার কাছে শাড়ি পরে গান গাইতে যাওয়া। আর গান কবিতা তো আছেই।
প্রঃ লেখার হাতেখড়ির আগে তোমার গানে হাতেখড়ি হয়েছিল?
অঙ্কিতা ভট্টাচার্যঃ হ্যাঁ, সত্যি। পড়াশোনা শুরু আগে গানে হাতেখড়ি হয়েছে। কখনও ভাবিনি গান আমার প্রফেশন হবে। আমার জীবন শুরু হয়েছিল নাচ দিয়ে। ওটাই দ্বিতীয় পছন্দ। আমার গানের হাতেখড়ি আমার মায়ের কাছে।
প্রঃ গানের পাশাপাশি, নাচ আর অভিনয়ের প্রতিও তো ইন্টারেস্টি রয়েছে, আমরা কি পর্দায় তোমার লিপে তোমার গান দেখতে পাব?
অঙ্কিতা ভট্টাচার্যঃ এটা কার না ইচ্ছে করে। আমার স্বপ্ন। আমি অভিনয় পছন্দ করি। ছোট থেকে নাচ-গান-অভিনয় সব শিখেছি। তবে গান ছাড়া আর কিছু পারিনা।
প্রঃ তোমার ফ্যানদের নিয়ে কিছু বলো…
অঙ্কিতা ভট্টাচার্যঃ আমি ফ্যানদের ‘ফ্যান’ বলি না। আমি পরিবার,বন্ধু বলি। কিছু ‘ক্রেজি’ মুহূর্ত আছে আমার। প্রচুর হার ছিঁড়ে গিয়েছে। হাত থেকে চুড়ি খুলে পড়ে গিয়েছে। অনুষ্ঠানে গিয়ে এমন অবস্থা হয়েছে যে হার ছিঁড়ে গিয়েছে, কান থেকে দুল খুলে পড়ে গিয়েছে তুলব যে এমন অবস্থা নেই। প্রচুর বই পেয়েছি। তাতে শুধু আমার ছবি আর আমার লেখা। এসব তো ওঁরা আমায় ভালবেসেই করেছেন।