ছোটবেলায় কীভাবে কাটত পয়লা বৈশাখ? এখন কতটা বদলে গিয়েছে নববর্ষের দিনটা, পয়লা বৈশাখের জমজমাট গল্প শোনাতে ‘টলিকথা’য় আজ অতিথি অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা
প্রঃ আজ বিকেলটা আমাদের সঙে কাটাচ্ছ, সকাল থেকে কীভাবে কাটালে?
সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা ঃ দ্যাখো, সকালটা আর পাঁচটা দিন যেমন কাটে সেভাবেই কেটেছে। দুপুরে মানে নিয়ে বেরিয়েছিলাম খাওয়াদাওয়া ক তে। বাঙালি খাবার খেলাম। বাবা-মাদের বয়স হলে ছেলেমেয়েরাই তাঁদের বাবা-মা হয়ে যায়। আজ মায়ের সঙ্গে একটু সময় কাটালাম।
প্রঃ পয়লা বৈশাখ তোমার ছোটবেলায় কেমন কাটত?
সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা ঃ ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখে একটা হালকা সুতির জামা হত। বিকেলে মায়ের সঙ্গে বেরিয়ে বিভিন্ন দোকানে ঘুরতাম। তখন দোকানে প্যান্ডেল করে খাওয়ানো হত। ফুচকা, কোল্ড ড্রিংকস, মিষ্টির প্যাকেট, ক্যালেন্ডার দেওয়া হত। একদম ছোটবেলায় গিয়ে খুব মজা লাগত। ফুচকা খাচ্ছি, কোল্ড ড্রিংক খাচ্ছি। কিন্তু একটু বড় যখন হলাম তখন আর ইচ্ছে করত না। বাড়িতেই প্যাকেট আসত। মিষ্টি খেতে ভীষণ ভালবাসতাম, স্বাভাবিকভাবেই প্যাকেটের মিষ্টিতে ইন্টারেস্ট থাকত। এখন পয়লা বৈশাখের দিনে নানা রকম ইভেন্ট আর প্রোগ্রাম থাকেই...
প্রঃ তাহলে ছোটবেলাটাকে খুব মিস করো?
সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা ঃ ছোটবেলাটা সবারই বেশ স্পেশ্যাল। কোনও ভাবনা-চিন্তা নেই। একেবারে যখন ছোট ছিলাম তখন স্কুলের চিন্তাও থাকত না।
প্রঃ নববর্ষের পরেই আসছে তোমার দুটো ছবি। একটা রাজর্ষি দে’র ‘মায়া’। আরও একটা...
সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতাঃ দুটো ছবি নিয়েই খুব এক্সাইটেড। রাজর্ষি দা’র ছবিটা পুরোপুরি নারীকেন্দ্রিক। আমার চরিত্রটা খুব ইন্টারেস্টিং। একেবারে ডিগ্ল্যাম একটা ক্যারেক্টার। যার কারণে ওজন বাড়াতে হয়েছিল। সে হিরোইনকে দেখে, গাইড করে। চায় তার উন্নতি হোক। আবার ম্যানুপুলেটও করে। সে জানে হিরোইনের উন্নতি হলে তারও উন্নতি। আমার লুকসও অন্যরকম।
প্রঃ তুমি চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে কতটা রিলেট করতে পারলে? মানে সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা রিয়েল লাইফে কতটা এই ছবির চরিত্রের মতো?
সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতাঃ রিয়েল লাইফে একেবারেই ম্যানুপুলেটিং নই। আমি স্ট্রেট ফরোয়ার্ড এটা অনেকেরই সমস্যা হয়। সোজা কথা বলতে ভালবাসি। খারাপ লাগলেও আমি এটাই।
প্রঃ আমাদের দর্শকদের কী বলবে?
সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতাঃ জিয়ো বাংলার দর্শক এবং ফলোয়ার্স সবাইকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা। নতুন বছর সবার ভাল কাটুক।